আমরা প্রতিনিয়তই আমাদের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট আপলোড করি যেখান থেকে আপনারা অনায়াসে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন। আজকে আমরা কথা বলব পাউন্ড নিয়ে। একটি মজার ব্যাপার হল এই পাউন্ড পরিমাপের একটি একক। আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষই পাউন্ড বললে সেটা ওজনের বিষয় বুঝবে কিন্তু আলাদাভাবে অনেকেই জানেন না এই পাউন্ড হচ্ছে একটি মুদ্রার নাম। আজকে আমরা সেই বিষয়টি আপনাদের সামনে পরিষ্কার করতে চাচ্ছি এবং আপনাদের জানাবো বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজার অনুযায়ী এক পাউন্ড সমান বাংলাদেশি টাকায় কত টাকা।
আমরা প্রায় সকলের ডলার চিনি এবং ডলার একটি আমেরিকান মুদ্রা সেটাও জানি। এই ডলার এমন একটি ভুল যা যেটা আন্তর্জাতিক বাজারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে এটা বাধ্যতামূলক। ঠিক একই ধরনের মুদ্রা হচ্ছে পাউন্ড। তবে এটা আন্তর্জাতিক মুদ্রা নয় এটা একটি দেশের অভ্যন্তরীণ মুদ্রা। তবে হ্যাঁ সেই দেশের সাথে বাণিজ্য করার ক্ষেত্রে আপনি এই পাউন্ড এর মাধ্যমে বাণিজ্য করতে পারেন। তবে অবশ্য এই ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে আপনি জানেন কিনা বর্তমান বাজার অনুযায়ী পাউন্ড এর রেট কত।
যারা এই বিষয়ে কিছুই জানে না তাদের জানানোর জন্যই আজকের মূলত এই আর্টিকেল তৈরি করেছি। আজকের তারিখ অনুযায়ী আন্তর্জাতিক বাজারে “পাউন্ড স্টারলিং” এর রেট কত সেটা আপনারা এখান থেকে জানতে পারবেন। এদিকে ওদিকে ঘোরাঘুরি না করে ধৈর্য সহকারে আমাদের সঙ্গে থাকুন আশা করছি প্রত্যেকটি বিষয় খুব পরিষ্কারভাবে আপনাদের সামনে আমরা তুলে ধরতে পারবো এবং আপনারা আমাদের আর্টিকেল পড়ে অনেক বেশি খুশি হবেন ।
পাউন্ড রেট বাংলাদেশ
পাউন্ড স্টারলিং অনেক দামি একটি মুদ্রা। বলতে গেলে ডলারের থেকে সব সময় কয়েক ধাপ এগিয়ে থাকে এই মুদ্রা। তাইতো এই পাউন্ডের বেশ গুরুত্ব রয়েছে আর আমরা যখনই ডলারের কথা বলি তখন পাউন্ড কে ছেড়ে কথা বলা যাবে না। পাউন্ড স্টারলিং এর বাজার দর সব সময় ওঠানামা করে। যদি আমরা গত এক মাস আগের কথাই বলি সেখানে দেখা যাচ্ছে যে আজকের বাজার দর থেকে দুই থেকে তিন টাকা কম দাম ছিল পাউন্ড এর। কিন্তু সেই পাউন্ড স্টারলিং এর দাম এক মাস পরেই বেড়ে দাঁড়িয়েছে আরও তিন টাকা বেশিতে।
আপনি যদি বাংলাদেশী টাকার সঙ্গে পাউন্ড রেট এর পার্থক্য করতে চান অথবা বাংলাদেশী টাকার মাধ্যমে পাউন্ড ক্রয় করতে চান তাহলে আপনাকে ধারণা রাখতে হবে। আজকের আন্তর্জাতিক মুদ্রা বাজার অনুযায়ী আপনি যদি ১ পাউন্ড স্টারলিং ক্রয় করতে চান তাহলে আপনাকে খরচ করতে হবে বাংলাদেশি টাকায় 134.67 টাকা। আপনারা বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে পারলেন আশা করছি ।
মনে করুন আপনার কাছে এক পাউন্ড স্টারলিং আছে এখন আপনি সেটা ঢাকাতে রূপান্তর করতে চাচ্ছেন এখন আপনার প্রশ্ন হল এটা টাকাতে রূপান্তর করলে কত টাকা আপনি পাবেন। আপনার প্রশ্নের উত্তর অনুযায়ী আজকের বর্তমান বাজার দর আপনাদের সামনে আমরা তুলে ধরলাম এখান থেকে এখন আপনাদের বুঝে নিতে হবে কি পরিমান লেনদেন করলে আপনার লাভ হবে না ক্ষতি হবে।
পাউন্ড এর এক্সচেঞ্জ রেট কত বাংলাদেশি টাকায়
আমরা যখন আন্তর্জাতিক মুদ্রা বিনিময় হার চেক করি তখন অবশ্যই শুধুমাত্র একদিনের বিনিময়ে হার চেক করিনা আমরা গত কয়েক মাসের পরিসংখ্যান লক্ষ্য করি। আমরা আজকে পাউন্ড স্টারলিং নামক মুদ্রার বিনিময় হার চেক করছি তাই সেখানে আমরা তার গত মাসের এবং গত কয়েক মাসের পরিসংখ্যান চেক করার চেষ্টা করছি। আশা করছি আপনারা আমাদের এখান থেকে সে পরিসংখ্যান ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। আমরা আপনাদের সামনে গত এক বছরে পরিসংখ্যান তুলে ধরবো তারপরে আজকের বাজার দর নিয়ে কথা বলব।
পাউন্ড স্টারলিং এর বাজার দর ৮ মে ২০২২ তারিখে ছিল ১০৭.০১ টাকা। আশা করছি এক বছর আগের রেট সম্পর্কে আপনার ভালো একটি ধারণা হলো। এরপরে আসি তারপরের মাসে অর্থাৎ ১১ জুন ২০২২ তারিখে আমরা যদি পাউন্ড স্টারলিং এর বাজার দর হিসেব করি তাহলে সেখানে তার রয়েছে ছিল ১১৫.৭১ টাকা। এরপরে আমরা ১০ জুলাই ২০২২ তারিখের দিকে যদি লক্ষ্য করি তাহলে দেখব সেটা কিছুটা কমে গেছে এবং কমে যাওয়ার ফলে দাম উঠেছে ১১২.০১ টাকা। পাউন্ড স্টার্লিং এর দাম আগস্ট মাসের ১৩ তারিখে ২০২২ সালে ছিল ১১৫.২৭ টাকা।
এইভাবে আমরা যদি সেপ্টেম্বর মাসের দিকে লক্ষ্য করি তাহলে দেখবে ১৫ সেপ্টেম্বর ১২০.২৩ টাকা হয়েছে পাউন্ড স্টারলিং এর দাম। আবার পরের মাসে পাউন্ড স্টার্নিং এর দাম কমতে শুরু করে এবং ৯অক্টোবর ২০২২ তারিখ অনুযায়ী এর দাম হয় ১১৫.৯৬ টাকা । কিন্তু ২০২২ সালে নভেম্বর মাস থেকে পাউন্ড স্টারলিং এর দাম প্রচুর পরিমাণে বাড়তে থাকে। এটা নভেম্বর মাসের ১৭ তারিখে থাকে ১২২.০৬ টাকায়। ডিসেম্বর মাসের ২২ তারিখ ২০২২ তারিখ অনুযায়ী এর দাম হয় ১২৮ দশমিক ৯৭ টাকা।
উপরে প্রায় গত এক বছরে পরিসংখ্যান আপনাদের সামনে আমরা তুলে ধরলাম এবং গত এক মাসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বর্তমানে আজকের দিনে এক পাউন্ড সমান বাংলাদেশি টাকায় ১৩৪.৬৭ টাকা। আশা করছি এখান থেকে পাউন্ড স্টার্লিং এর আন্তর্জাতিক এক্সচেঞ্জ রেট সম্পর্কে আপনাদের ভালো একটি ধারণা হলো। ২০২৩ সালকে কেন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সাল হিসেবে বলা হচ্ছে সেটা হয়তো আপনারা এই পরিসংখ্যান দেখে বুঝতে পারছেন তার কারণ হচ্ছে ২০২৩ সালে অর্থনীতি ঠিক রাখা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে যাচ্ছে ছোট দেশগুলোর জন্য। বাংলাদেশ ঠিক একই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে তাই আমাদের সকলকে নিজ নিজ জায়গা থেকে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে অবদান রাখতে হবে।
১০০ পাউন্ড সমান কত টাকা
আপনার কাছে রয়েছে ১০০ পাউন্ড স্টারলিং এখন আপনি চিন্তা করছেন এই পাউন্ড ভাঙ্গিয়ে কিছু টাকা উঠানো যাক। কিন্তু আপনি জানেন না বর্তমান বাজার অনুযায়ী ১০০ পাউন্ড এর বিনিময়ে আপনাকে বাংলাদেশি কত টাকা দেওয়া হবে। তবে আমরা সবসময় আপনাদের পাশে আছি এবং আমরা আপনাদের এই ধরনের সমস্যার সমাধান করতে পারব। আমরা আপনাদের চট করে জানাতে পারব ১০০ পাউন্ড ভাঙ্গানোর ফলে আপনি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কত টাকা পাবেন।
আমাদের কাছে যে তথ্য আছে সেই তথ্য অনুযায়ী ৮ মে ২০২৩ সাল আন্তর্জাতিক মুদ্রা বিনিময় বাজার অনুযায়ী ১০০ পাউন্ড এর বিপরীতে বাংলাদেশী টাকা পাওয়া যাবে ১৩৪৬৬.৬৮ টাকা। আশা করছি আপনারা বিষয়টি পুরোপুরি পরিষ্কারভাবে বুঝতে পেরেছেন যদি বুঝতে না পারেন তাহলে আমাদের প্রশ্ন করতে পারেন। আমরা সবসময় আপনাদের পাশে আছি এবং আমরা সঠিক তথ্যের মাধ্যমে আপনাদের সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করি সব সময়।
১০০০ পাউন্ড সমান কত টাকা
সাধারণত পাউন্ড বিশ্বের দামি মুদ্রা গুলোর মধ্যে একটি। আপনারা যারা ফুটবল খেলা দেখতে পছন্দ করেন এবং ফুটবল খেলাকে ভালোবাসেন তারা অবশ্যই জানেন ইউরোপের যে দেশগুলো রয়েছে সেই দেশগুলোতে বিভিন্ন ক্লাবে খেলোয়াড়দের কেনাবেচা করা হয়। কেনাবেচা করা বলতে তাদের বিভিন্ন পারিশ্রমিকে তাদের ক্লাবের নিয়ে আসা হয় তখন বিভিন্ন মুদ্রায় তাদের পারিশ্রমিক দেওয়া হয়। কোন কোন প্লেয়ারকে ডলার এ পারিশ্রমিক দেওয়া হয় আবার কোন কোন প্লেয়ারকে ইউরো পারিশ্রমিক দেওয়া হয়। আবার কাউকে পাউন্ডে পারিশ্রমিক দেওয়া হয়।
আজকে আমরা আলোচনা করব কোন প্লেয়ারকে যদি ১০০০ পাউন্ড দেওয়া হয় তাহলে তার বেতন কত হবে সে প্রসঙ্গে। মনে করুন একটি প্লেয়ার কে ১০০০ পাউন্ড দেওয়া হল তাহলে সে বাংলাদেশের টাকায় কত টাকা আছে তার হিসাব আপনার জানার প্রয়োজন রয়েছে। বর্তমানে ১০০০ পাউন্ড সমান বাংলাদেশি টাকায় ১৩৪৬৬৬.৮৫ টাকা যেটা সেই প্লেয়ার পাবে। আশা করছি আপনারা আপনাদের প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেয়েছেন ।