ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব ২০২৩

আপনাদের সকলকে স্বাগতম জানাচ্ছি আজকের গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলে। যদি বর্তমান পরিবেশের বর্তমান পরিস্থিতির কথা বলা হয় তাহলে হয়তো সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকতে চলেছে আজকের এই আর্টিকেলে। কেননা ফ্রিল্যান্সিং বর্তমান যুগের সব থেকে জনপ্রিয় এবং সব থেকে বেশি উপার্জনের একটি প্লাটফর্ম। এবং সেই প্লাটফর্মের খুঁটিনাটি অনেক তথ্য আমরা এই আর্টিকেলে দেবো এবং আমরা আপনাদের জানাবো কিভাবে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন বা ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন। লক্ষ লক্ষ বেকার মানুষ বর্তমানে চেষ্টা করছে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে তাই আমরা একটু হলেও তাদের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে আজকের এই আর্টিকেল নিয়ে হাজির হলাম যেখানে আমরা বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের উত্তর এবং বিভিন্ন উপায় জানাবো যেটা ফ্রিল্যান্সিং করতে আপনাকে সাহায্য করবে।

মনে করেন আপনি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চাচ্ছেন তার আগে আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেটা হচ্ছে সঠিক মনোবল এবং সঠিক লক্ষ্য আপনাকে স্থির করতে হবে। আপনি যদি সঠিক লক্ষ্য স্থির না করতে পারেন তাহলে সেটা হতে পারে আপনার জন্য সমস্যার কারণ। ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য যে মনোবল প্রয়োজন সেটা থাকতে হবে এবং তারপরে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আপনার হাতে অন্তত দুই বছর সময় থাকতে হবে যেখানে আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর পেছনে ব্যয় করবেন এবং যে সময়টুকু পরবর্তীতে আপনার কাজে দেবে। এগুলো থাকলেই আপনি ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য আগ্রহ দেখাতে পারেন বা ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখে সেগুলো জানতে পারেন। আমাদের এখান থেকে জেনে নিন ফ্রিল্যান্সিং কাজের ধরন এবং সেগুলো কিভাবে শিখতে হবে বা কোথায় গেলে আপনি সেগুলো শিখতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজসমূহ এবং কেন কাজ শেখা উচিত

ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন ধরনের কাজ আছে আপনি যে কাজে পারদর্শী সেই কাজেই আপনি সেটা করতে পারেন। আধুনিক যুগে মোবাইল আমাদের সকলের হাতেই আছে সেই মোবাইলে বিভিন্ন সময় আমরা বিভিন্ন ধরনের কাজে পারদর্শী থাকি। ঠিক তেমনি কম্পিউটারে আমরা যে যেটাতে পারদর্শী আমরা যদি সেই কাজগুলোই সঠিক হয়ে এবং সঠিক জায়গাতে করি সেটাই হবে ফ্রিল্যান্সিং এবং সেটার মাধ্যমে আপনি উপার্জন করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজসমূহের মধ্যে রয়েছে ডাটা এন্ট্রি, প্রোগ্রামিং, টাইপিং, ডিজাইনিং, ইমেজ এডিটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি ধরনের কাজ। আপনারা যারা এ ধরনের কাজ করতে ইচ্ছুক তাদেরকে বলবো অবশ্যই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন আপনি কোন কাজে পারদর্শী। আপনি এখান থেকে যেকোনো একটি সুবিধামতো কাজের ধরন বেছে নিতে পারেন অথবা আরো হাজার হাজার কাজ আছে যেগুলো আপনি দেখতে পারেন।

এখন আপনি যদি আমাকে প্রশ্ন করেন কেন ফ্রিল্যান্সিং শেখা উচিত তাহলে আমি সে প্রশ্নের উত্তরে বলব আপনার ভবিষ্যতকে উজ্জ্বল করতে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন। বর্তমান বাংলাদেশের বাজারে চাকরির অভাব যে হারে দেখা দিচ্ছে পাশাপাশি শিক্ষিতের হার যেভাবে বেড়ে যাচ্ছে অদূর ভবিষ্যতে দেখা যাবে যে মানুষ পড়াশোনায় ছেড়ে দেবে কারণ পড়াশোনা করে কোন চাকরি থাকছে না। এই কঠোর পরিস্থিতিতে ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি মাধ্যম যেখানে কোন ধরনের পড়াশোনা ছাড়াই বা কোন ধরনের যোগ্যতা ছাড়া বা কোন ধরনের অভিজ্ঞতা ছাড়া আপনি যদি সঠিকভাবে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন তাহলে চাকরি থেকে কয়েক গুণ বেশি টাকা ইনকাম করার সুযোগ পাচ্ছেন আপনি। আরেকটি সবথেকে বড় জিনিস যেটা সব সময় বাঙ্গালীদের মাথায় খটকা বাদে সেটা হচ্ছে স্বাধীনতা আর হে স্বাধীনতা পাচ্ছেন আপনি এই ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে যেটা অন্য প্রতিষ্ঠান বা অন্য ব্যক্তির অভ্যন্তরে কাজ করে আপনি কখনোই পাবেন না। আশা করছি বিষয়টি আপনার মাথায় ভালোভাবে ঢুকেছে।

 

ফ্রিল্যান্সিংয়ের কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৩

ফ্রিল্যান্সিং এর কোন কাজের চাহিদা বেশি এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গেলে আমরা হয়তো সঠিক উত্তর দিতে পারব না তার কারণ হচ্ছে লক্ষ লক্ষ কাজের ধরন আছে এখন কোনটা রেখে কোনটা বলব সেটা বলা ভুল হবে। যে যেই কাজে পারদর্শী যে যেটা থেকে অর্থ উপার্জন করছে তাকে যদি প্রশ্ন করা হয় তাহলে সে সেই কাজের কথায় বলবে। তাই এখানে আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজে চাহিদা বেশি সম্পর্কে জানতে চান তাহলে একটু গভীরভাবে চিন্তা করতে হবে এবং শুধুমাত্র একজনার মতামতে আপনি সন্তুষ্ট হতে পারবেন না। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজগুলোর মধ্যে সবথেকে বেশি কাজ করা হয় ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, আর্টিকেল রাইটিং এই ধরনের কাজগুলো থেকে। আপনারা বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই ধরনের কাজগুলো করতে পারেন ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য।

তবে হ্যাঁ আমরা উপরে যেই তথ্যগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি সেই তথ্যগুলোর প্রত্যেকটি ধাপে রয়েছে হাজার হাজার ধরনের কাজ। উদাহরণস্বরূপ বলতে গেলে গ্রাফিক ডিজাইন বলতে শুধুমাত্র একটা কাজ নয় কয়েক হাজার ধরনের গ্রাফিক্স ডিজাইন আছে আপনি কোনটাতে পারদর্শী বা আপনি কি করছেন সেটা ডিপেন্ড করছে আপনার ট্যালেন্টের ওপর। ডিজিটাল মার্কেটিং কয়েক ধরনের আছে এখন আপনি কোন ডিজিটাল মার্কেটিং করতে চাচ্ছেন সেটা আপনার উপর নির্ভর করছে তাই এরকম বিভিন্ন ধরনের তথ্য আছে যেগুলো ওপর থেকে বোঝা যায় না ভেতরে গেলেই অনেক তথ্য পরিষ্কার হবে। আপনি এই বিষয়গুলো পর্যালোচনা করতে পারেন এবং এখান থেকে কোন কাজটা আপনার জন্য সহজ এবং কোন কাজ আপনি ইতিপূর্বে করেছেন সেই কাজকেই আপনার ফ্রিল্যান্সিং এর ক্যারিয়ার করার জন্য বেছে নিন এটাই ভালো হবে বলে আমি মনে করি।

ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ সমূহ কি কি ২০২৩

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ কি কি এটা আমাদের মূল আলোচনার বিষয় এবং আমি যদি এক কথায় এ প্রশ্নের উত্তর দিই তাহলে সেটা হবে সবথেকে বড় ভুল। বর্তমান বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজের প্রায় কয়েক লক্ষ ধারন আছে এখন আমি কোনটা রেখে আপনাকে কোনটা বলব সেটা আমি বুঝতে পারছিলাম। তবে হ্যাঁ এই সমস্যার সমাধান আমাদের কাছে আছে আর সে সমাধানটি হলো বাংলাদেশে বসে যারা ফ্রিল্যান্সিং করছে তারা সাধারণত কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করছে এবং কোন কোন কাজ করছে সেগুলো যদি আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরি তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন মূলত ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজের ধরন গুলো কি কি এবং কোনগুলো বাংলাদেশ থেকে করা যাবে। আশা করছি এখন আমরা আপনাদের পরিষ্কারভাবে বিষয়টি বুঝাতে পারব।

যদি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটের কথা চিন্তা করি তাহলে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি ফ্রিল্যান্সাররা কয়েক ধরনের কাজ করে এর বাইরে তারা যায় না। তার কারণ হচ্ছে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিদেশি বায়ারদের সঙ্গে বিভিন্ন কথোপকথন এবং বিভিন্ন কাজের ধরন অনুযায়ী এই কাজগুলো করা সহজ এবং আমরা অনেক আগে থেকেই এই কাজগুলোর সঙ্গে অভ্যস্ত যাতে করে এই কাজগুলো আমরা করতে পারি। তার মধ্যে হচ্ছে একটি গ্রাফিক্স ডিজাইন ছোটখাটো গ্রাফিক্স ডিজাইন বা ছোটখাটো ছবি ডিজাইন করা যাদের কম্পিউটার আছে তারা আগে থেকে জানে তাই এটা আউটসোর্সিং এর ভালো একটি কাজ এবং জনপ্রিয় একটি কাজ। ডাটা এন্ট্রি মূলত কম্পিউটার যারা শেখে তারা সবার প্রথমে ডাটা এন্ট্রিটা শেখে তাই আপনি যদি ডাটা এন্ট্রি করতে পারেন সেটা যদি সিস্টেমেটিক করতে পারেন তাহলে সেটা হতে পারে ফ্রিল্যান্সিং এর একটি ভালো মানের এবং জনপ্রিয় কাজ।

এছাড়াও আপনি চাইলে বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল রাইটিং করেও ফ্রিল্যান্সিং থেকে কাজ করতে পারেন যেটা অত্যন্ত জনপ্রিয় বর্তমান যুগে। ওয়েব ডেভেলাপমেন্ট খুব সহজে একটি কাজ নয় তবে এই কাজটি যদি আপনি সহজ করতে পারেন অর্থাৎ বিভিন্ন ট্রেনিং বিভিন্ন প্রোগ্রামের মাধ্যমে আপনি যদি এটা আয়ত্তে আনতে পারেন তাহলে আপনি বড় মানের একটি ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন। ডিজিটাল মার্কেটিং বর্তমান যুগের পণ্য বিক্রয়ের জন্য সবথেকে বড় মাধ্যম। ডিজিটাল মার্কেটিং যদি আপনি শিখতে পারেন তাহলে আপনার কাজের অভাব হবে না তাই অবশ্যই চেষ্টা করুন আমি উপরে যেই বিষয়গুলো বলেছি তার মধ্যে যে কোন একটি কাজ খুঁজে বের করতে যেটা আপনার জন্য পারফেক্ট হবে এবং আপনি যেটাতে কাজ করে স্বাচ্ছন্দ বোধ করবেন বাঙালি হিসেবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *