ব্যাংকে টাকা রাখার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিন ২০২৩

আজকে সকল পাঠকগণ আমাদের এই পোস্ট থেকে জানতে পারবেন ব্যাংকে টাকা রাখার কয়েকটি নিয়ম। অবশ্যই আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যাংক আমাদের প্রধান মাধ্যম এবং আমরা প্রতিনিয়ত এই ব্যাংকের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত হচ্ছি। তাই এই ব্যাংক সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য আমাদের জেনে রাখা উচিত এবং এই তথ্যগুলো একদিন না একদিন যে কোনভাবে আমাদের কাজে আসতে পারে। তাই আমরা আজকে আলোচনা করার চেষ্টা করব ব্যাংকে টাকা রাখার কয়টি পদ্ধতি নিয়ে। এই পদ্ধতি গুলো যদি আপনাদের জানা থাকে তাহলে বিভিন্ন সময় ব্যাংকে যদি টাকা রাখার প্রয়োজন হয় তাহলে আপনারা কোন ধরনের ভুল থেকে দূরে থাকবেন।

আপনাদের মধ্যে যারা এমন রয়েছেন ব্যাংকে টাকা রাখা সম্পর্কে কিছুই জানেন না অথবা আগ্রহ প্রসন করা সত্ত্বেও আপনি জানতে পারেনি তাদের জন্যই আজকের আমরা এই পোস্ট তৈরি করেছি। এখন না হলে অতীতে কোনো না কোনো এক সময় প্রয়োজন পড়বে ব্যাংকে টাকা রাখার জানার পদ্ধতি জানতে। আজকে আমরা ব্যাংকে টাকা রাখার বিশেষ কয়েকটি পদ্ধতি নিয়ে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করবো এবং আপনাদের জানাবো আপনি কোন পদ্ধতিতে টাকা রাখলে কোন কোন সুবিধা পাবেন। এসকল বিষয় নিয়ে আজকে আমরা আমাদের আলোচনা দীর্ঘায়িত করবো।

বর্তমানে আর্থিক লেনদেনের জন্য আমরা ব্যাংকের দিকে ঝোঁক বেশি দিচ্ছি। অতীতে ধন সম্পদ সংরক্ষণের জন্য আমরা কোন ভাবে অন্যের দ্বারস্থ হতাম না আমরা চেষ্টা করতাম সব সময় নিজের কাছে আমাদের সম্পদ জমাতে। কিন্তু বর্তমানে এই পদ্ধতির সম্পূর্ণ ভিন্ন পদ্ধতি আমরা অবলম্বন করছি এবং আমরা সম্পূর্ণ অন্য জনের কাছে আমাদের টাকা রেখে আসছি। কিন্তু এটা কোন ব্যক্তি নয় এটা হচ্ছে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং যা বিশ্বাসযোগ্য একটি প্রতিষ্ঠান।

এখানে টাকা রাখলে কোন ভাবে টাকা হারানোর কোন সুযোগ নেই এবং অনেকেই রয়েছেন যারা এখানে টাকা রাখলে কোন ধরনের কোনো পরিশ্রম ছাড়াই মুনাফা অর্জন করে থাকেন। তাই বর্তমানে ব্যাংক আস্তে আস্তে সকলের মাঝে জায়গা দখল করছে এবং এর মূলধনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। যারা এখন পর্যন্ত ব্যাংকে কোন রকম টাকা রাখেন না কিন্তু টাকা রাখার পদ্ধতি গুলো জানতে চাচ্ছেন এবং কোন পদ্ধতিতে টাকা রাখলে আপনি লাভবান হবেন সেই পদ্ধতি জানতে চাচ্ছেন তারা আমাদের এই পোস্ট থেকে জানতে পারবেন সে বিষয়গুলো।

ব্যাংকে টাকা রাখার কারণ

ব্যাংকে টাকা রাখা বলতে এখানে আপনার উপার্জিত অর্থের অতিরিক্ত অংশকে জমা করাকে বোঝানো হয়েছে। আমরা মানুষ ঠিক যেমন এক রকম নয়, ঠিক আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা একরকম নয়। এর কারন হল আমরা বিভিন্ন পেশার বিভিন্ন মানুষ রয়েছি। প্রত্যেকটি মানুষের ইনকামের পরিমাণ একই রকম নয়, কিন্তু যার যতটুকু ইনকাম হোক না কেন তারা চেষ্টা করে সেই ইনকাম হতে কিছু অর্থ ব্যয় করি এবং কিছু অর্থ সংরক্ষণ করি যা ভবিষ্যতে কোনো বিপদ আপদে কাজে লাগবে। সেই চিন্তা ভাবনা থেকেই আদিম যুগ থেকে মানুষ তাদের সম্পদ বা অর্থ সংরক্ষণ করা শুরু করেছিল এবং বর্তমানে যা রূপান্তরিত হয়ে ব্যাংক ব্যবস্থা হয়ে গেছে।

ব্যাংকে টাকা রাখার বহু কারণ রয়েছে কিন্তু সচরাচর দেখতে পাওয়া যায় আমাদের উপার্জিত টাকা অতিরিক্ত অংশ আমরা বাসাতে না রেখে ব্যাংকে রাখি। আমরা যদি আদিম প্রথা অনুযায়ী আমাদের টাকাগুলো বাসাতে রাখে তাহলে দেখা যায় যে অনেক সময় বিভিন্ন প্রতারক এর মাধ্যমে আমরা টাকা গুলো হারিয়ে ফেলি অথবা এমন হয় যে আমাদের সম্পদ গুলো চুরিডাকাতি হয়ে যায়। অনেকেই আবার নিজের কাছে টাকা রাখলে বিভিন্ন মাধ্যমে সে টাকাগুলো খরচ করে ফেলে। এতে করে সে আর টাকা জমাতে পারে না।

উপরে উল্লেখিত এইসকল কারণ গুলো সাধারণত ব্যাংকে টাকা রাখার কারণ। আপনি ব্যাংকে টাকা রাখলে আপনার টাকা হারানোর কোন ধরনের চান্স নেই এবং বর্তমানে ব্যাংক চক্রবৃদ্ধি হারে মুনাফা প্রদানের মাধ্যমে মূলধন সংরক্ষণকারী কে পুরস্কৃত করেছে। এতে করে আপনি যদি বাসাতে টাকা রাখেন তাহলে আপনি কোন ভাবে সেখান থেকে কোন লাভ পাবেন না কিন্তু ব্যাংকে টাকা জমা রাখলে আপনি সেখান থেকে নির্দিষ্ট হারে মুনাফা অর্জন করতে পারবেন।

ব্যাংকে টাকা রাখার নিয়ম

ব্যাংকে টাকা জমা রাখার জন্য প্রথমত আপনাকে প্রত্যেকটি ব্যাংক সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। ব্যাংক সম্পর্কে আপনি যদি না জানতে পারেন তাহলে আপনি আপনার সুবিধা অনুযায়ী কোন ব্যাংকে টাকা রাখা যায় সেই বিষয়ে কখনো বুঝতে পারবেন না। প্রথমে আপনার আশেপাশে বা নিকটস্থ যে ব্যাংক রয়েছে সেই ব্যাংক গুলোর সম্পর্কে আপনাকে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে হবে এবং জানতে হবে কোন ব্যাংক আপনার জন্য ভালো হবে। এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ব্যাংকের তথ্য তুলে ধরেছি।

এর পরবর্তীতে আপনাকে নির্বাচন করতে হবে আপনি কোন ধরনের অ্যাকাউন্ট খুলতে যাচ্ছেন। যদি আপনি ব্যাংকে টাকা জমা রাখতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে এবং সেই অ্যাকাউন্ট কি ধরনের অ্যাকাউন্ট হতে পারে বা আপনার জন্য কোন অ্যাকাউন্ট ভালো হতে পারে সেই বিষয়টি সিদ্ধান্ত আপনাকে নিতে হবে। তবে এই ক্ষেত্রে আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটের সাহায্য নিতে পারেন কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন একাউন্ট এর সুবিধা অসুবিধা নিয়ে আলোচনা করেছি। আপনারা সেখান থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে জানতে পারেন কোন অ্যাকাউন্ট আপনার জন্য সুবিধার হতে পারে।

এক্ষেত্রে আমাদের মতামত হচ্ছে আপনি যদি টাকা জমানোর উদ্দেশ্যে ব্যাংকে টাকা রাখেন তাহলে আপনাকে প্রথমত একটি কারেন্ট একাউন্ট খুলতে হবে। এই কারেন্ট একাউন্ট শুধুমাত্র আপনি খুলে রাখবেন আপনার পরবর্তী ডিপিএস অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য। আপনি এই কারেন্ট একাউন্টে স্বল্প পরিমাণ টাকা জমা রাখবেন সর্বনিম্ন 1000 টাকা রাখা যায়।

এরপরে আপনার প্রধান লক্ষ্য হবে একটি ডিপিএস অ্যাকাউন্ট খোলা। ডিপিএস অ্যাকাউন্ট খুলতে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন তা আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে পেয়ে যাবেন। সেই একাউন্ট খোলার উদ্দেশ্যে আপনারা সকল কাগজপত্র সংগ্রহ করে আপনার পছন্দের নিকটস্থ ব্যাংকের শাখা তে উপস্থিত হবেন।

ডিপিএস খুলতে আপনার কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন সে বিষয়ে আপনাকে এখন আমরা অবগত করব। আপনারা এই সকল কাগজপত্র নিয়ে ডিপিএস খুলতে নিকটস্থ ব্যাংকে উপস্থিত হবেন।

আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের এক কপি ফটোকপি এবং দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি।

এর সঙ্গে আপনি যাকে নমিনি করতে চাচ্ছেন তার ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্রের এক কপি ফটোকপি এবং 1 কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি।

 আপনাকে সেখান থেকে একটি ফরম সংগ্রহ করতে হবে এবং সেই ফ্রম সম্পূর্ণ পূরণ করে জমা দিতে হবে।

আপনি এইভাবে ডিপিএস অ্যাকাউন্ট খোলার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন। এখন আপনি কিভাবে টাকা জমাতে চাচ্ছেন বা কত টাকা কিস্তি দিলে আপনি কত টাকা কত বছর পরে ফেরত পাবেন সেই বিষয়ে অবগত করতে তারা আপনাকে একটি লিস্ট হাতে ধরিয়ে দেবে।

সেই লিস্ট অনুযায়ী আপনি কত টাকা জমাতে পারবেন সে বিষয়ে আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। আপনি সিদ্ধান্ত নিন কোন ডিপিএস টা আপনি করতে চাইবেন সেই অনুযায়ী আপনাকে মাসিক কিস্তি প্রদান করতে হবে। এইভাবে মাসে মাসে আপনি ব্যাংকে উপস্থিত হয় আপনার ডিপিএস এর মাসিক কিস্তির সমপরিমাণ টাকা জমা দেবেন।

ডিপিএস সংক্রান্ত একটি সম্পুর্ন পোস্ট আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে আপলোড করেছি আপনারা সেখান থেকে চাইলে সকল তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন। এইভাবে আপনি যখন ব্যাংকে টাকা জমা দেবেন তখন আপনি যেই নির্দিষ্ট বছরের জন্য টাকা জমা দেওয়ার জন্য ডিপিএস করেছিলেন সেই বছর পরে মূলধন এবং মুনাফাসহ প্রচুর অর্থ একসঙ্গে পাবেন। এইভাবে আপনি যদি ব্যাংকে টাকা জমা দেন তাহলে অবশ্যই আপনি দিন শেষে একজন বুদ্ধিমান এবং বিজয় মানুষ হিসেবে নিজেকে পাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *