জনতা ব্যাংক ডিপিএস 2023 Janata Bank DPS List

আজকে আপনারা আমাদের এই পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন জনতা ব্যাংকের ডিপিএস কি এবং এই ডিপিএস গুলোর ধরন কত প্রকারের। যারা জনতা ব্যাংকের গ্রাহক রয়েছেন অথবা যারা ভাবছেন জনতা ব্যাংকে ডিপিএস খুলবেন তাদের জন্য আজকে আমরা নিয়ে এলাম ডিপিএস সংক্রান্ত সম্পূর্ণ এই পোস্ট। আপনারা জনতা ব্যাংকের ডিপিএস সংক্রান্ত সকল তথ্য আমাদের এই পোষ্টের মাধ্যমে পেয়ে যাবেন। জনতা ব্যাংক বর্তমানে বাংলাদেশের বেশ জনপ্রিয় একটি আর্থিক লেনদেন প্রতিষ্ঠান। তারা তাদের গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন মেয়াদী ডিপিএস পদ্ধতি চালু রেখেছে।

জনতা ব্যাংক ডিপিএস এর প্রকারভেদ

আপনারা এই অংশের মাধ্যমে জানতে পারবেন জনতা ব্যাংকের ডিপিএস প্রকারভেদ সম্পর্কে। এর মাধ্যমে আপনারা জনতা ব্যাংকের পাঁচ ধরনের ডিপিএস এর সম্পর্কে জানতে পারবেন। আমরা আপনাদের এখন জনতা ব্যাংকের পাঁচ ধরনের ডিপিএস এর নাম উল্লেখ করলাম।

অনিবাসী পেনশন স্কিম
জনতা হজ ডিপোজিট স্কিম
জনতা ডিপোজিট স্কিম
জনতা ব্যাংকের স্কুল ব্যাংকিং সঞ্চয় হিসাব
জনতা ব্যাংক নারী প্রকল্প সঞ্চয়ী হিসাব

আমরা ওপরে যে পাঁচটি ডিপিএস পদ্ধতির কথা উল্লেখ করেছি আপনারা এই পদ্ধতিগুলোর বিস্তারিত আমাদের এই অংশে পেয়ে যাবেন। বিস্তারিত তথ্য জানুন এবং আপনার পছন্দের এবং আপনার সুবিধার ডিপিএস পদ্ধতি বেছে নিয়ে জিপিএস শুরু করুন।

অনিবাসী পেনশন স্কিম (এনআরপিএস) 

আপনাদের মধ্যে যারা বিভিন্ন কারণবশত বিদেশে থাকেন অথবা যারা বিদেশে কর্মরত রয়েছেন তাদের জন্য সাধারণত এই স্কিম তৈরি করা হয়েছে। মূলত প্রবাসী কর্মরত বাঙালি নাগরিকদের জন্যই জনতা ব্যাংক এই সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। তারা চাইলে এই ধরনের ডিপিএস খুলতে পারবে। তাই এটি আলাদা ধরনের একটি সুবিধা বলে আমি মনে করি।

অনিবাসী ডিপিএস স্কিম খুলতে চাইলে একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ 5 বছর মেয়াদের জন্য এই অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন।

এই একাউন্টে মাসিক কিস্তির পরিমাণ থাকবে 3 হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ 20 হাজার টাকা পর্যন্ত।

একাউন্টে যে পরিমাণ টাকা আপনি রাখতে চাইছেন, সেই টাকা মাসের শুরুর দিন থেকে শুরু করে শেষের দিন পর্যন্ত যে কোন একদিন রাখলেই হবে।

এছাড়াও আপনি যে মেয়াদে টাকা রাখার জন্য ডিপিএস টি খুলেছিলেন যদি কোনো কারণবশত সেই মেয়াদের পূর্বে টাকা উত্তোলন করে নিতে চান তাহলে বিভিন্ন মেয়াদের যেই নিয়ম রয়েছে সেই নিয়ম মেনে আপনি ইন্টারেস্ট সেখান থেকে পাবেন।

এই একাউন্টের জন্য বার্ষিক সর্বোচ্চ আপনাকে সুদ প্রদান করা হবে 8.5 পার্সেন্ট পর্যন্ত।

জনতা হজ্ব ডিপোজিট স্কিম জনতা ব্যাংক ডিপিএস

এই ডিপিএস পদ্ধতির সুবিধা হল যিনারা হজ্ব করার উদ্দেশ্যে টাকা জমা রাখতে চাচ্ছেন তারা এ ডিপিএস পদ্ধতির মাধ্যমে টাকা জমা রাখতে পারবেন। যেহেতু আপনি হজ্বের উদ্দেশ্যে টাকা জমা রাখতে চাচ্ছেন তাহলে কোন ধরনের সুদ ছাড়া এই ডিপিএস পদ্ধতি পরিচালিত হবে। তাই যারা হজ্বের জন্য জনতা ব্যাংকে ডিপোজিট স্কিম খুলতে যাচ্ছেন তারা খুলতে পারেন।

আপনারা যারা হজের জন্য টাকা জমানোর উদ্দেশ্যে এই ডিপিএস করবেন তারা এই ডিপিএস এর মেয়াদকাল করতে পারবেন সর্বনিম্ন 1 বছর থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ 20 বছর পর্যন্ত।

যেহেতু হজের জন্য আপনি এই ডিপোজিটে টাকা জমাতে চাইছেন তাহলে সেই ক্ষেত্রে সুদ সম্পূর্ণ হারাম উল্লেখ করা হয়েছে। সুদ হারাম হওয়ার কারণে আপনি সম্পূর্ণ উন্মুক্ত একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন একদম বিনা সুদে। যেহেতু এটি একটি সুদ মুক্ত একাউন্ট তাই আপনি আপনার পছন্দমতো মেয়াদ বেঁধে এবং পছন্দমত কিস্তিতে টাকা জমাতে পারবেন।

আপনি যে মেয়েদের উদ্দেশ্যে টাকা জমানো শুরু করেছিলেন যদি তার পূর্বে আপনি টাকা উঠাতে চান তাহলে যেকোনো সময় আপনি টাকা উঠাতে পারবেন। একাউন্টে কোন রকমের চার্জ আরোপ করা হবে না তবে সরকারি ট্যাক্স দিতে হবে একাউন্টের মাধ্যমে।

জনতা ডিপোজিট স্কিম জনতা ব্যাংক ডিপিএস

আপনাদের মধ্যে যারা জনতা ডিপোজিট স্কিম নামের এই ডিপোজিট খুলতে যাচ্ছেন তাদের জন্য আমরা এই ডিপোজিট এর কিছু বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। অবশ্যই আপনারা এই বৈশিষ্ট্যগুলো আগে দেখবেন এবং ভালভাবে পড়বেন তারপরে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন এই ডিপোজিট আপনারা নিবেন কিনা।

আপনি চাইলে সর্বোচ্চ 5 বছর মেয়াদের মধ্যে এই একাউন্ট চালু করতে পারবেন। অর্থাৎ আপনি সর্বনিম্ন এক বছর থেকে শুরু করে 5 বছর পর্যন্ত এ্যাকাউন্ট করতে পারবেন।

প্রত্যেকটি ডিপিয়েছ যেই মাসিক কিস্তি নির্ধারণ করা হয় এই ডিপিএস এ আপনি সেই মাসিক কিস্তি সর্বনিম্ন 1000 টাকা থেকে শুরু করতে পারবেন। সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে আপনাকে 25000 টাকার কথা নির্ধারণ করে দেয়া হবে। এই ডিপোজিট স্কিম আপনি সর্বোচ্চ 6 পার্সেন্ট চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ পাবেন।

এই ডিপোজিটের কিস্তি প্রদানের তারিখ শুরু হবে প্রতি মাসের 1 তারিখে এবং সর্বোচ্চ 10 তারিখ পর্যন্ত আপনি যেকোন কার্য দিবসে জিপিএস এর কিস্তির টাকা প্রদান করতে পারবেন।

এছাড়াও আপনি যদি মনে করেন পাঁচ বছরের আগে যে কোন সময় আপনি এই অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিতে চাচ্ছেন তাহলে সমস্ত চার্জ দেওয়ার পরে সরল সুদ প্রদান করা হবে।

জনতা ব্যাংক স্কুল ব্যাংকিং ডিপিএস

জনতা ব্যাংক স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিশেষ এই স্কিমের ব্যবস্থা করেছে। এর মাধ্যমে একজন স্কুল পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রী যেকোনো মেয়াদে ডিপিএস সঞ্চয় অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে। তো চলুন এই ডিপিএস এর কিছু বৈশিষ্ট্য নিচে আমরা জানি।

এই দ্বীপে সিস্টেমের সবথেকে বড় সুবিধা হলো আপনি আপনার পছন্দমত মেয়াদকাল বেছে নিতে। এখানে ব্যাংক কর্তৃক আপনাকে মেয়াদের জন্য কোন ধরনের নিয়ম বেঁধে দেওয়া হবে না।

এই দ্বীপে সিস্টেমে মাসিক কিস্তির পরিমাণ সর্বনিম্ন 100 টাকা থেকে শুরু করা হয়েছে। তাই আপনি যদি একজন শিক্ষার্থী হয়ে এই ডিপিএস করতে চান তাহলে মাসিক শুধু মাত্র 100 টাকা জিপিএস কিস্তি আপনাকে প্রদান করতে হবে।

এই একাউন্টের জন্য কোন ধরনের সুদের হার নির্ধারণ করা হয়নি। অর্থাৎ যেহেতু এটি একটি স্কুল ব্যাংকিং জিপিএস তাই এটার জন্য এখন পর্যন্ত কোন ধরনের সুদের হার নির্ধারণ করা হয়নি।

জনতা ব্যাংক নারী কল্যাণ ডিপিএস প্রকল্প

জনতা ব্যাংক তাদের ডিপিএস এ নারীদের উন্নয়নের লক্ষ্যে নারী কল্যাণ ডিপিএস প্রকল্প চালু করেছে। এই ডিপিএস শুধুমাত্র একজন নারী করতে পারবে। তাই যারা নারী হয়ে ডিপিএস খুলবেন বলে ভাবছেন তারা জনতা ব্যাংকের নারী কল্যাণ ডিপিএস প্রকল্প খুলতে পারেন। এর বৈশিষ্ট্যগুলো আমরা নিচে উল্লেখ করলাম।

আপনি চাইলে এই ডিপিএস সর্বনিম্ন পাঁচ বছরের জন্য করতে পারেন এবং সর্বোচ্চ 10 বছরের জন্য আপনি এই ডিপিএস করতে পারেন।

1000 টাকা থেকে শুরু করে 500 টাকার গুণিতক এর সর্বোচ্চ 25 হাজার টাকা প্রতিমাসে আপনি এই একাউন্টে জমা দিতে পারবেন।

এই একাউন্টের জন্য সুদের হার নির্ধারণ করা হয়েছে সর্বোচ্চ 6 পার্সেন্ট পর্যন্ত।

আপনারা যারা ডিপিএসের যে মেয়াদ নির্ধারণ করে দিবেন সেই মেয়াদের পূর্বে যদি এই ডিপিএস এর টাকা উত্তোলন করে নিতে চান তাহলে আপনার জমাকৃত টাকা থেকে ব্যাংক চার্জ কেটে নেওয়া হবে এবং আপনাকে সরল সুদে টাকা প্রদান করা হবে।

ডিপিএস অ্যাকাউন্ট কিভাবে খুলব

ডিপিএস অ্যাকাউন্ট খুলতে হলে প্রথমত আপনাকে জনতা ব্যাংকের একটি শাখা তে উপস্থিত হতে হবে। তবে এর জন্য আপনাকে প্রথমত একটি কারেন্ট একাউন্ট অথবা সেভিংস অ্যাকাউন্ট খুলে নিতে হবে। আপনি আপনার তথ্য দিয়ে একটি কারেন্ট একাউন্ট খুলে নিন এবং তারপরে ডিপিএস অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলুন।

আপনি কোন ডিপিএস অ্যাকাউন্ট খুলতে যাচ্ছেন এবং কত মেয়াদের খুলতে চাচ্ছেন সেটা আপনাকেই নির্ধারণ করতে হবে। তবে ব্যাংক কর্মকর্তা আপনার হাতে একটি চার্ট ধরিয়ে দিবে যেখানে উল্লেখ রয়েছে আপনি কোন ডিপিএস করলে মেয়ে আছে সে কত টাকা পেতে পারেন। আপনি বিস্তারিত তথ্য গুলো জেনে সেই অনুপাতে যেকোনো ধরনের ডিপিএস খুলতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *