ইসলামী ব্যাংক ডিপিএস সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ২০২৩

আপনারা আমাদের এই পোস্ট থেকে জানতে পারবেন ইসলামী ব্যাংকের ডিপিএস সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য। ইসলামী ব্যাংকের নাম শোনেননি এমন ব্যক্তি খুব কম রয়েছেন। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের বুকে এত বিশ্বাসযোগ্য এবং ভালো মানের একটি আর্থিক লেনদেন প্রতিষ্ঠান। আজকে আমরা চেষ্টা করব সেই ইসলামী ব্যাংকে ডিপিএস সিস্টেম নিয়ে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করতে। অনেকেই রয়েছেন যারা ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহক আছেন তারা ডিপিএস করতে চাচ্ছেন।

তারা কিভাবে ডিপিএস করলে ডিপিএস ভালো মানের ডিপিএস হবে এবং কোন ডিপিএস এ কি পরিমাণ মুনাফা আপনি পেতে পারেন সে বিষয়ে আলোচনা করব। বর্তমানে আমরা সকলেই চেষ্টা করছি অল্প আয়ের এর মধ্য দিয়েও কিছু টাকা সঞ্চয় করতে। এই সঞ্চিত অর্থ আমরা নিজের কাছে জমা রাখছি না। এ সুরক্ষার জন্য আমরাই অর্থগুলো বিভিন্ন আর্থিক লেনদেন প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ ব্যাংকের বিভিন্ন মেয়াদে জমা রাখছি।

কেউ শুধুমাত্র সেভিং একাউন্ট এর মাধ্যমে টাকা গুলো জমা জমা রাখতে চান অথবা কেউ একদম ফেক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা গুলো জমা রাখতে চাচ্ছেন। কিন্তু যারা কিস্তিতে অর্থাৎ মাসিক ভাবে টাকা জমা রাখতে চাচ্ছেন তাদের জন্য ডিপিএস পদ্ধতি সবথেকে উত্তম একটি পদ্ধতি। ডিপিএস এর মাধ্যমে টাকা জমা করার সহজ এবং ভালো একটি পদ্ধতি।

ডিপিএস পদ্ধতির মাধ্যমে একজন গ্রাহক চাইলে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা প্রদানের মাধ্যমে আছে সে প্রচুর টাকা পেতে পারেন। আপনারা কিভাবে ইসলামী ব্যাংকে ডিপিএস খুলবেন এবং কোন ডিপিএস করলে আপনার জন্য ভালো হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে মনোযোগ সহকারে আমাদের পোস্ট টি পড়ুন। আপনারা আমাদের এই পোস্ট থেকে বিভিন্ন তথ্য জানতে পারবেন ইসলামী ব্যাংক সম্পর্কে। ইসলামী ব্যাংকে যে কয় ধরনের ডিপিএস সিস্টেম রয়েছে প্রত্যেকটি বিষয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব। এছাড়াও সেই ডিপিএস এর বৈশিষ্ট্যগুলো আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরব যাতে করে আপনারা বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বুঝতে পারেন কোন ডিপিএস আপনি নিজে থেকে খুলতে পারবেন।

ইসলামী ব্যাংক ডিপিএস কি

আপনি যদি ইসলামী ব্যাংকের অধীনে কিছু টাকা সঞ্চয় করতে চান তাহলে তাদের বেঁধে দেওয়া কিছু নিয়মের সাথে তাহলে সেটিকে ইসলামী ব্যাংক ডিপিএস বলা হবে। এই উপায়ে যে কেউ চাইলে তাদের পছন্দ অনুযায়ী একটি মেয়াদ নির্ধারণ করে ইসলামী ব্যাংকের অধীনে তার টাকা সঞ্চয় অথবা টাকা জমাতে পারবে এবং কিছু মুনাফার অর্থাৎ কিছু লাভের সাথে পরবর্তী সময়ে তার সেই টাকাটি লাভ সহকারে তুলে নিতে পারবে।

ইসলামী ব্যাংকের এসেবা মূলত তিনটি ভিন্ন সময়সূচী র জন্য। আর সেই সময় সূচি হল তিন বছর পাঁচ বছর এবং 10 বছর। আপনি চাইলে এই সময়সীমার মধ্যে আপনার টাকা জমা রাখতে পারবেন।এবার নির্দৃষ্ট অ্যামাউন্ট প্রতি মাসে জমা করার পরে মূল সময়সূচির পর আপনি কিছু লাভের সমন্বয়ে আপনার অর্থ পুনরায় নিজের কাছে নিয়ে আসতে পারবেন।

ইসলামী ব্যাংক ডিপিএস এ রিকোয়ারমেন্ট

ইসলামী ব্যাংকের অধীনে আপনি যদি এই কাজটি সম্পাদন করতে চান তাহলে যে সমস্ত ডকুমেন্টস অথবা রিকোয়ারমেন্ট এর প্রয়োজন হবে সেগুলো নিচে দেওয়া হল।

ইসলামী ব্যাংকে ডিপিএস খোলার সিস্টেম যেকোনো ব্যক্তিবর্গের জন্য প্রযোজ্য। অর্থাৎ যে কোন ব্যক্তি যদি চাই যে ইসলামী ব্যাংকে ডিপিএস খুলবে তাহলে সেই ব্যক্তি খুব সহজেই ইসলামী ব্যাংকে ডিপিএস খুলতে পারবে শুধুমাত্র ইসলামী ব্যাংকে ডিপিএস খোলার জন্য কিছু নিয়ম রয়েছে সেগুলো মানতে হবে।

যে ব্যক্তি এই অ্যাকাউন্ট খুলতে চাইবে সেই ব্যক্তিকে ব্যাংক কর্তৃক প্রদত্ত একটি ওপেনিং ফরম রয়েছে সেই ফরমটি ফিলাপ করতে হবে ঠিকমতো।

যে ব্যক্তি একাউন্ট খুলতে চান সেই ব্যক্তির এক কপি রঙিন সাইজের ছবি এবং সেই ব্যক্তির জাতীয় পরিচয় পত্রের ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হবে।

একজন নমিনি নির্বাচন করতে হবে এবং নমিনির ফটোকপিসহ আইডি কার্ডের ডকুমেন্টস প্রদান করতে হবে।

উপরে উল্লেখিত যে সব ডকুমেন্টস এর কথা বলা হয়েছে সেইসব ডকুমেন্টগুলো দিলে যে কেউ চাইলে খুব সহজেই একটি ইসলামী ব্যাংক ডিপিএস অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন এবং এর সেবা নিতে পারবেন।

ইসলামী ব্যাংকে ডিপিএস খোলার কিস্তির হার

ইসলামী ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করার পরে কিস্তির হার সম্পর্কে জেনে নেয়া উচিত। আমরা আমাদের অনুচ্ছেদের অংশে আপনাদেরকে জানাবো ইসলামী ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তৈরি করার পরে কিস্তির যে হাড় রয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গুলো। তো চলুন জেনে নেয়া যাক।

ইসলামী ব্যাংকের ডিপিএস অ্যাকাউন্ট খোলার পর আপনি প্রতিমাসে চাইলে 500 টাকার গুণিতক হিসাবে ইচ্ছামত টাকা সঞ্চয় করতে পারবেন অর্থাৎ জমা রাখতে পারবেন। যার সর্বনিম্ন সীমা হলো 500 টাকা এবং সর্বোচ্চ 50 হাজার টাকা পর্যন্ত। এর মধ্যে আপনার ইচ্ছামত ঢাকা আপনি প্রতি মাসে মাসে জমা রাখতে পারবেন এই ডিপিএস অ্যাকাউন্ট এ।

ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট তৈরি করার পরে কিস্তির হার এবং এর মেয়াদ নিজে থেকে নির্ধারণ করতে পারবেন।

ব্যাংকের আরডিএস এবং ইউপিডিএস কর্মকর্তারা চাইলে 100 টাকা কিস্তি হারে এই সেবা নিতে পারবেন।

উপরে উল্লেখিত কিস্তির হার এবং সময়সীমা এর সমন্বয়ে আপনার ইসলামী ব্যাংকের সঞ্চয়ী হিসাব খোলা হবে।

ইসলামী ব্যাংকে ডিপিএস অ্যাকাউন্ট এর কিছু সুবিধা

আপনি যদি ইসলামী ব্যাংকে একটি ডিপিএস খোলার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তাহলে আপনার অবশ্যই জানা দরকার ইসলামী ব্যাংক ডিপিএস বা মাসিক সঞ্চয় প্রকল্প যেসব সুযোগ-সুবিধা রয়েছে সেসব সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে জেনে নেয়া। এখন আমরা আমাদের অনুচ্ছেদের এ অংশে জানাবো ইসলামী ব্যাংক ডিপিএস মাসিক সঞ্চয় প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা গুলো। আপনারা যারা এসব সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক তারা অবশ্যই আমাদের অনুচ্ছেদের অংশটুকু ভালোভাবে পড়ে নিন। এবং আমাদের সাথেই থাকুন।

ইসলামী ব্যাংক ডিপিএস মাসিক সঞ্চয় প্রকল্প আপনারা চাইলে যে কেউ এই একাউন্টে তিন বছর কিংবা পাঁচ বছর অথবা 10 বছর মেয়াদের জন্য খুলতে পারবেন।

আপনি এই ডিপিএস প্রতিমাসে চাইলে সর্বনিম্ন 500 টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ 50 হাজার টাকা পর্যন্ত আপনার ইচ্ছামত জমা রাখতে পারবেন।

ইসলামী ব্যাংক ডিপিএস মাসিক সঞ্চয় প্রকল্প একাউন্ট তৈরি করার ক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন মেয়াদের একাউন্টের জন্য বিভিন্ন রকমের আলাদা আলাদা সুদ পাবেন।

আপনি যদি ইসলামী ব্যাংক ডিপিএস বা মাসিক সঞ্চয় প্রকল্প একাউন্ট 3 বছর মেয়াদের জন্য তৈরি করেন তাহলে তিন বছর মেয়াদের জন্য সুদের হার হবে 10.50 শতাংশ।

ইসলামী ব্যাংকের ডিপিএস একাউন্ট খোলা হচ্ছে ঝামেলা একেবারেই কম।

ইসলামী ব্যাংকের ডিপিএস এ মুনাফার হার সবচাইতে বেশি।

নির্দিষ্ট মেয়াদের পরেও যদি আপনি টাকার না দেন তাহলে সেভিং একাউন্টে ডেটে এক্সট্রা মুনাফা লাভের সম্ভাবনা রয়েছে।

যেকোন শাখা হিসাব স্থানান্তর করা যায় ইসলামী ব্যাংক ডিপিএস এর মাধ্যমে।

ইসলামী ব্যাংক ডিপিএস মাসিক সঞ্চয় প্রকল্পের সঞ্চয় হিসেবে আপনাকে প্রতিমাসে আপনার টাকা জমা দিতে হবে।আপনি যদি মনে করেন এই টাকাটি আপনি নগদ দিবেন তাহলে আপনি এই টাকাটি নগদে জমা দিতে পারবেন। অথবা আপনি যদি মনে করেন এই টাকাটি আপনি চেক অথবা অন্য যে কোন উপায়ে জমা দিতে চান তাহলেও কোন সমস্যা নেই আপনি যে কিংবা অন্য যে কোন উপায়ে টাকা কি জমা দিতে পারবেন।

এটি হলো মূলত ইসলামী ব্যাংকের ডিপিএস সিস্টেম রয়েছে বা মাসিক সঞ্চয় প্রকল্প রয়েছে যে মাসিক সঞ্চয় প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। আপনারা যারা মনে করছেন ইসলামী ব্যাংক একটি ডিপিএস খুলবেন তাহলে অবশ্যই এই ইসলামী ব্যাংকে আপনার ডিপিএস খুলতে পারেন। এতে করে আপনি আপনার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে যে লাভের অংশসহ আপনার মূল টাকাটা আপনি পাবেন সেই টাকা দিয়ে আপনি আপনার যেকোনো কাজ খুব সহজেই সম্পাদন করতে পারবেন।

আশা করি আপনি ইসলামী ব্যাংক ডিপিএস সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য গুলো আমাদের অনুচ্ছেদ থেকে জেনে নিতে পেরেছেন। এ সম্পর্কে যদি আরও কিছু তথ্য জানার ইচ্ছা থাকে তাহলে আরো কিছু তথ্য আপনারা যদি জানতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন এবং জেনে নিন সকল তথ্য গুলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *