কোন ব্যাংকে ডিপিএস লাভ বেশি ২০২৩

আপনাদের মধ্যে এমন অনেকেই রয়েছেন যারা জানতে চেয়েছেন কোন ব্যাংকের ডিপিএস এ লাভ বেশি পাওয়া যায়। আপনি যখন কোন ব্যাংকে ডিপিএস করবেন তখন সেই ব্যাংক আপনাকে কি পরিমাণ মুনাফা প্রদান করবে সেটার ওপর ভিত্তি করে আপনি সেই ব্যাংকের ডিপিএস রাখবেন। এতে করে অবশ্যই সকলে আগে থেকেই খোঁজখবর নিয়ে রাখবে কোন ব্যাংকে ডিপিএস করলে আপনার মুনাফার হার বেশি পাওয়া যাবে। এই বিষয়গুলো অনেকের অজানা এবং অনেকেই এই বিষয়গুলো বিস্তারিত জানতে চান।

আপনারা আজকে আমাদের এই পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন বাংলাদেশের বিশেষ বিশেষ এবং বড় বড় যেই ব্যাংকগুলোর রয়েছে সেই ব্যাংক গুলোতে আপনি ডিপিএস করলে প্রতি মাসে কি পরিমাণ মুনাফা পাবেন। আমরা যদিও প্রত্যেকটি ব্যাংকের আলাদা আলাদা ডিপিএস পদ্ধতি গুলো আমাদের ওয়েবসাইটে আলাদা আলাদাভাবে আপলোড করেছি ‌। এর পরেও আপনারা যারা একসঙ্গে সব ডিপিএস এর মুনাফার হার জানতে চাচ্ছেন সুবিধার জন্য তাদের জন্য আজকে আমরা নতুন একটি পোস্ট তৈরি করেছি। আপনারা যারা মুনাফার হার জানতে চান তারা আমাদের সম্পুর্ন পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড ডিপিএস

এখন আমরা আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব ডাচ বাংলা ব্যাংকে ডিপিএস করলে আপনি কি পরিমাণ মুনাফা পেতে পারেন। যারা ডাচ-বাংলা ব্যাংকে বিভিন্ন মেয়াদে ডিপিএস করেন তাদের সুবিধার্থে আমরা এই তথ্যগুলো দেওয়ার চেষ্টা করছি। আপনারা অবশ্যই এই তথ্যগুলো থেকে বিশেষ কিছু উপকার পাবেন।

আপনারা যদি ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড ডিপিএস করেন তাহলে সেখানে ডিপিএস এর মেয়াদকাল হবে 3 বছর, 5 বছর, 8 বছর কিংবা 10 বছর।
500 টাকা গুণিতকে আপনাকে ইচ্ছেমতো টাকা জমা রাখার সুযোগ করে দিয়েছে।
সুদের হার শতকরা 7.5% এবং এই ব্যাংকের সঞ্চয়ী হিসাবের জন্য সুদ দিবে 4 টাকা করে।

ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড ডিপিএস

আপনারা যারা ঢাকা ব্যাংকে ডিপিএস করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য ঢাকা ব্যাংকে কি সুযোগ সুবিধা দিয়েছে সেই সম্পর্কে এখন আমরা আপনাদের জানাব।

এই ব্যাংকে আপনি যদি 4 বছর থেকে শুরু করে 10 বছর মেয়াদের ডিপিএস করতে চান তাহলে করতে পারবেন।
সর্বনিম্ন 500 টাকা জমা রাখতে পারবেন এবং সর্বোচ্চ 20 হাজার টাকা পর্যন্ত জমা রাখতে পারবেন।
এই ব্যাংকের ক্ষেত্রে প্রদত্ত সুদের হার হবে সর্বনিম্ন 6% থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ 9.5% পর্যন্ত এবং সঞ্চয়ী হিসাবের জন্য সুদের হার হবে 4 টাকা।

সিটি ব্যাংক লিমিটেড ডিপিএস

সিটি ব্যাংক এর গ্রাহকদের জন্য ডিপিএস এর ক্ষেত্রে কি কি সুযোগ সুবিধা প্রদান করছে এখন আমরা সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

আপনারা যারা সিটি ব্যাংকে ডিপিএস করবেন বলে ভাবছেন তারা এই ব্যাংকে সর্বনিম্ন 3 বছরের জন্য ডিপিএস খুলতে পারবেন এবং সর্বোচ্চ 10 বছরের জন্য ডিপিএস খুলতে পারবেন।
এই ব্যাংকে ডিপিএস এর নিয়ম অনুসারে একজন ব্যক্তি চাইলে সর্বনিম্ন 500 টাকা জমা রাখতে পারবে এবং সর্বোচ্চ 20 হাজার টাকা জমা রাখতে পারবে।
সিটি ব্যাংকের সর্বোচ্চ সুদের হার প্রদান করা হবে 8.5% এবং সঞ্চয় হিসেবে আপনাকে শতকরা 4 টাকা সুদ প্রদান করা হবে।

ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড ডিপিএস

যারা ন্যাশনাল ব্যাংকে ডিপিএস করবেন বলে ভাবছেন তারা আমাদের এখান থেকে জানতে পারবেন সেই ন্যাশনাল ব্যাংকের ডিপিএস করলে একজন গ্রাহক কি কি সুযোগ সুবিধা পেতে পারে। এছাড়াও গ্রাহকরা কি হারে মুনাফা পেতে পারে সে বিষয়ে এখন আমরা আপনাদের জানাব।

এই ব্যাংকে আপনি পেয়ে যাচ্ছেন সর্বোচ্চ পাঁচ ধরনের মাসিক কিস্তিতে ডিপিএস করার সুযোগ। আপনি চাইলে 500 টাকা, 1000 টাকা, 2000 টাকা, 5000 টাকা এবং 10000 টাকা জমা রাখতে পারবেন।
ডিপিএস সিস্টেম এর মেয়াদকাল হতে পারে 3 বছর, 6 বছর, 8 বছর এবং 10 বছর।
ন্যাশনাল ব্যাংক তাদের গ্রাহকদের জন্য সুদের হার নির্ধারণ করেছে 7.75% থেকে শুরু করে 9.5% শতাংশ পর্যন্ত। এই ব্যাংকে যারা সঞ্চয়ী হিসাব খুলবে তাদেরকে সুদ প্রদান করা হবে 4.5 শতাংশ পর্যন্ত।

আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড ডিপিএস

দেশের বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে আইএফআইসি অন্যতম একটি ব্যাংক। এই ব্যাংক ডিপিএস এর জন্য তার গ্রাহকদের চেষ্টা করেছে সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা তৈরি করে দিতে। একজন গ্রাহক যদি মনে করে সে আইএফআইসি ব্যাংকে ডিপিএস খুলবে তাহলে সে কি কি সুযোগ সুবিধা পেতে পারে এখন আমরা তা আপনাদের জানাবো।

প্রথমত এই ব্যাংকে ডিপিএস এর জন্য মাসিক কিস্তি সর্বনিম্ন 500 টাকা থেকে শুরু করা হয়েছে এবং সর্বোচ্চ আপনি যত ইচ্ছা তত জমা রাখতে পারবেন।
এই ডিপিএসের টাকার ওপর এবং মেয়াদের ওপর ভিত্তি করে সর্বোচ্চ 9.5% পর্যন্ত মুনাফা প্রদান করবে আইএফআইসি ব্যাংক ।
এই ব্যাংকের ডিপিএস এর মেয়াদকাল হবে সর্বনিম্ন তিন বছর থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর পর্যন্ত। যারা সঞ্চয়ী হিসাব খুলতে চাইছেন তাদের জন্য সুদের হার হবে 5 টাকা।

শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড

শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের রয়েছে ডিপিএস খোলার সুযোগ। এই ব্যাংকের গ্রাহকরা বিভিন্ন মেয়াদে ডিপিএস করতে পারেন এবং সেই ডিপিএস গুলো করলে তারা কি কি সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে সে তথ্য এখন আমরা তাদের দেওয়ার চেষ্টা করব। যারা শাহজালাল ব্যাংক এর ডিপিএস করবেন বলে ভাবছেন তারা আমাদের এই পোস্ট থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন।

এই ব্যাংকেও আপনি সর্বনিম্ন 3 বছর থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ 10 বছর মেয়াদের ডিপিএস খুলতে পারবেন।
মাসিক কিস্তি সর্বনিম্ন নির্ধারণ করা হয়েছে 450 টাকা এবং তারা আরো নির্ধারণ করেছে 650 টাকা, 450 টাকা, 1250 টাকা এবং সর্বোচ্চ 2350 টাকা।

এছাড়াও ডিপিএস সিস্টেম এ যে মুনাফা নির্ধারণ করা হয়েছে সেটা ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারণ করা হবে। অর্থাৎ যেহেতু এটি একটি ইসলামী ব্যাংক তাই আপনি পূর্ব থেকে কোন মুনাফার নির্দিষ্ট করতে পারবেন না তারা আপনার টাকা থেকে ব্যবসা করে যে পরিমাণ লাভ গ্রহণ করবে সেখান থেকে আপনাকে একটি অংশ প্রদান করবে।
সঞ্চয়ী হিসাবের জন্য শতকরা প্রায় চার টাকা সুদ প্রদান করা হবে।

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড ডিপিএস

যারা ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড ডিপিএস করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কি কি সুযোগ সুবিধা প্রদান করছে সেই বিষয় এখন আমরা জানবো। যারা ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহক রয়েছেন তারা আমাদের এই পোস্ট থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন।

এই ব্যাংকে আপনি সর্বনিম্ন 100 টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ 5 হাজার টাকা পর্যন্ত মাসিক কিস্তিতে ডিপিএস এর জমা করতে পারবেন।
টাকা জমানোর মেয়াদকাল হলো 5 বছর এবং 10 বছর।
মুনাফার শতকরা হার হল 9% থেকে 10% ব্যাংকের সঞ্চয় হিসাব রাখলে 7.75 টাকা শতকরা হারে মুনাফা দেবে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক লিমিটেড ডিপিএস

যিনি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক লিমিটেড এর গ্রাহক রয়েছেন ডিপিএস করবেন বলে ভাবছেন তারা জানতে পারবেন ডিপিএস এ কি কি সুযোগ সুবিধা আপনি পেতে পারেন। অথবা যারা ভাবছেন স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে ডিপিএস অ্যাকাউন্ট খুলবেন তাদের জন্য এই তথ্যটি কাজে লাগতে পারে।

এক্ষেত্রে আপনি সর্বোচ্চ তিন বছরের জন্য ডিপেস হিসাব খুলতে পারবেন। প্রাথমিক হিসাবে জমা দিতে হবে 10 হাজার টাকা এবং মাসিক কিস্তিতে আপনাকে জমা প্রদান করতে হবে এক হাজার টাকা করে।
এখানে আরেকটি হিসাব বিদ্যমান রয়েছে আর সেটি হলো আপনি যদি সে 40 হাজার টাকা জমা করেন তাহলে 53 হাজার টাকা ফেরত পাবেন। এটি এই ব্যাংকের একটু ব্যতিক্রমধর্মী একটি হিসাব।

আজকের মতো এই ছিল আমাদের কাছে বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংকের ডিপিএস সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য। যারা ডিপিএস খোলার আগে এই তথ্যগুলো জানতে চাচ্ছিলেন তারা এখন এই তথ্যগুলো জেনে তাদের সুবিধা অনুযায়ী ডিপিএস খুলতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *