জনতা ব্যাংক লোন প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানুন ২০২৩

আপনাদের সকলকে স্বাগতম জানাই আমাদের আজকের এই অনুচ্ছেদে। আপনাদের কমেন্টের ভিত্তিতে আজকে আবারো আমরা হাজির হলাম নতুন একটি অনুচ্ছেদ নিয়ে। আজকের আমাদের অনুচ্ছেদের মূল বিষয় হল জনতা ব্যাংক লোন প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য সমূহ। আপনারা যারা জনতা ব্যাংকের লোন সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানতে ইচ্ছুক তারা অবশ্যই আমাদের অনুচ্ছেদ টি সম্পূর্ণ ভালভাবে পড়ুন। আশা করি আমাদের অনুচ্ছেদ এর মাধ্যমে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন।

জনতা ব্যাংক সম্পর্কে জানি না বা শুনিনি এমন ব্যক্তি খুব কমই আছে। জনতা ব্যাংক বাংলাদেশের অনেক পুরাতন একটি ব্যাংক এবং সারা দেশব্যাপী সবথেকে বড় ব্যাংকিং নেটওয়ার্ক নিয়ে তারা পরিচালিত হচ্ছে। আজকে আমরা এই বিষয়ে আলোচনা করব জনতা ব্যাংক লোন প্রকল্প এর পদ্ধতি নিয়ে এবং এ ব্যাংক এ কি লোন রয়েছে সে বিষয়গুলো নিয়ে। আপনারা যারা জনতা ব্যাংক এর গ্রাহক রয়েছেন অথবা জনতা ব্যাংক সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়েছেন তারা আমাদের সাথেই থাকুন।

জনতা ব্যাংক লোন এর প্রকারভেদ

প্রত্যেকটি ব্যাংকের লোন কাঠামো আলাদা আলাদা রয়েছে তাই আমরা অন্য ব্যাংকের সঙ্গে জনতা ব্যাংক এর তুলনা করলে চলবে না। জনতা ব্যাংকের লোন কত প্রকারের সে বিষয়ে আমরা এখন আপনাদের সামনে আলোচনা করব। এখন আপনাদের সামনে আলোচনা করব বিভিন্ন ধরনের লোন কাঠামো নিয়ে জনতা ব্যাংক বেশ কয়েকটি লোন পদ্ধতি চালু রেখেছে। আপনি যদি জনতা ব্যাংক থেকে লোন নিতে চান তাহলে 6 টা বিভিন্ন সেক্টরের জন্য লোন নিতে পারবেন অর্থাৎ 6 টি ভিন্ন কার্য সম্পাদনের ক্ষেত্রে আপনি নিতে পারবেন।

জনতা ব্যাংক থেকে লোন নেয়ার যে সমস্ত সেক্টর রয়েছে সেগুলো নিচে মেনশন করা হলো

জনতা ব্যাংক পেনশনভোগীদের জন্য বিশেষ ঋণ

জনতা ব্যাংক গৃহ নির্মাণ লোন প্রকল্প

জনতা ব্যাংক পল্লী ঋণ

জনতা ব্যাংক সকল পেশাজীবীর জন্য জনতা ব্যাংক লোন।

জনতা ব্যাংক শিক্ষা লোন কর্মসূচি

জনতা ব্যাংক গাভী পালন ঋণ কর্মসূচী

তাহলে আর দেরি না করে এখনি দেখে নিন এ সমস্তলোন নেওয়ার ক্ষেত্রে কি সমস্ত রিকোয়ারমেন্ট এর প্রয়োজন হবে এবং কিভাবে এই সমস্ত লোন নিতে পারবেন।

পেনশনভোগীদের জন্য বিশেষ লোন

আপনি যদি যেকোনো একটি চাকরির মধ্যে রিটার্ড বা অবসরপ্রাপ্ত হয়ে যান অথবা পেনশনভোগী হয়ে যান তাহলে জনতা ব্যাংকে সমস্ত ব্যক্তিবর্গের জন্য পেনশনভোগী বিশেষ দিন চালু করেছে। এই ঋণ শুধুমাত্র তাদের জন্য চালু করা হয়েছে যারা চাকরির পর অবসর প্রাপ্ত হন।

পেনশনভোগীদের জন্য ঋণ সম্পর্কে তথ্য

যে ব্যক্তি এই ঋণ নেবে সেই ব্যক্তিকে অবশ্যই বিভিন্ন সরকারি চাকরি অথবা অন্য স্বনির্ভর প্রতিষ্ঠান থেকে অবসর নেয়ার দলিল দেখাতে হবে।

আপনি চাইলে এই ঋণ 10 লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন।

এই ঋণ 9 পার্সেন্ট সুদ হারে পরিশোধ করতে হবে। অর্থাৎ এই ঋণের সুদের হার 9%।

যারা এই লোন নিতে ইচ্ছুক তাদের লোন এর মেয়াদ সর্বোচ্চ পাঁচ বছর এবং 60 কিস্তিতে লোন দিতে হবে। অর্থাৎ আপনি যে টাকা ঋণ করবেন সেই টাকা 60 স্ত্রীর মধ্যে আপনাকে সম্পূর্ণটাই পরিশোধ করে দিতে হবে পাঁচ বছরের মধ্যে।

প্রতিমাসে আপনাকে ঋণ পরিশোধ করতে হবে।

ঋণের জামানত

যে ব্যক্তি এই ঋণ নেবে সেই ব্যক্তিকে অবশ্যই তার ব্যাংকের হিসাব জনতা ব্যাংকে বুঝিয়ে দিতে হবে।

ঋণ নেওয়ার জন্য যে স্ট্যাম্প থাকে সেই সিস্টেম এর মাধ্যমে ঋণ দেয়া হবে এবং সেই ব্যক্তির গ্যারান্টি দিতে হবে।

ঋণ পরিশোধের নিশ্চয়তা সরুপ যে ব্যক্তির নেবে সেই ব্যক্তির স্বামী স্ত্রী পিতা-মাতা ও সহোদর ভাই সাবালক সন্তান ইত্যাদি তৃতীয় পক্ষের। গ্যারান্টি প্রদান করতে হবে।

এই ঋণ প্রকল্প জনতা ব্যাংকের যে কোন শাখা থেকে আপনি ইচ্ছা করলেই নিতে পারবেন।

জনতা ব্যাংক গৃহ নির্মাণ লোন প্রকল্প

আপনি যদি মনে করেন জনতা ব্যাংক থেকে লোন নেয়ার মাধ্যমে একটি বাড়ি তৈরি করতে চান অথবা অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয় করতে চান তাহলে গৃহনির্মাণ ঋণ প্রকল্প টি আপনি বেছে নিতে পারেন। তাহলে আর দেরি না করে এখনি আপনারা দেখে নিন গৃহনির্মাণের প্রকল্পের ক্ষেত্রে কিরকম ডকুমেন্ট এবং ঋণসীমা প্রয়োজন হবে।

ঋণ নেয়ার ডকুমেন্টস

যে ব্যক্তি গৃহ নির্মাণ লোন প্রকল্পে ঋণ নিতে চাইবে সে ব্যক্তি কে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। অর্থাৎ কোন প্রবাসী ব্যক্তি এই ঋণ নিতে পারবেন না।

এই ঋণের সময়সীমা হল মোট প্রকল্পিত প্রায় 60 পার্সেন্ট অর্থাৎ কোন একটি ভবন তৈরি করতে যদি এক কোটি টাকার প্রয়োজন হয় তাহলে ব্যাংক থেকে 60 লক্ষ টাকা নেয়া যাবে।

গৃহ নির্মাণ লোন প্রকল্পে সুদের হার হল 11 পার্সেন্ট চক্রবৃদ্ধি হার।

আপনি যদি এই ঋণ নিয়ে থাকেন তাহলে প্রতি মাসে কিস্তির মাধ্যমে আপনাকে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে।

এক বছর প্রেস পিরিয়ডসহ সর্বোচ্চ 15 বছরের মধ্যে আপনাকে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে।

জামানত হিসেবে সংশ্লিষ্ট নির্মাণাধীন যে ভবন করবেন সেই ভবনে রেজিস্টার্ড ব্যাংকের নিকট দায়বদ্ধ থাকবে।

পল্লী লোন প্রকল্প

এই ঋণ মূলত বিত্তহীন এবং স্বল্প বৃদ্ধ পুরুষ এবং মহিলার জন্য জনতা ব্যাংক পল্লী ঋণ প্রকল্প চালু করে রেখেছে। এই ঋণের মাধ্যমে বিত্তহীন লোকজন পল্লী ঋণ প্রকল্প নিতে পারবে।

পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প এর আদ্যোপান্ত

পল্লী লোন প্রকল্প ঋণসীমা সর্বোচ্চ 5 লক্ষ টাকা পর্যন্ত নেওয়া সম্ভব।

পল্লী লোন প্রকল্পের সুদের হার শুধু মাত্র 9 পার্সেন্ট।

এই লোনের কিস্তির ধারণ নির্বাচন করা হবে যে ব্যক্তি এই লোন নেবে সেই ব্যক্তির বর্তমান আয়কৃত টাকার পরিমাণ পরিমাপ এর মাধ্যমে।

যে প্রকল্পের জন্য আপনি অনলি লোন থেকে ঋণ নেবেন সে প্রকল্পের ধরন অনুযায়ী লোন নেওয়ার সময় সীমা নির্ধারণ করা হয়।

জামানত হিসেবে তৃতীয় পক্ষ ব্যক্তির 50000 টাকা দেয়ার ব্যক্তিগত গ্যারান্টি থাকতে হবে।

সকল পেশাজীবীর জন্য জনতা ব্যাংক লোন

আপনি যদি আধা সরকারি সরকারি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান চাকুরীজীবী হয়ে থাকেন তাহলে জনতা ব্যাংক থেকে সকল পেশাজীবীর জন্য জনতা ব্যাংক লোন সেবাটি নিতে পারবেন।

এই লোনের ফিচারস

যেকোনো ব্যক্তি যত টাকা প্রতি মাসে বেতন পাবে সে বেতনের সর্বনিম্ন হিসেবে 12 গুণ অব্দি টাকার পরিমাণ এর লোন নিতে পারবে।

সকল পেশাজীবীর জন্য জনতা ব্যাংক লোনের সুদের হার 9 পার্সেন্ট।

এই লোন প্রতি মাসের কিস্তির মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে।

সকল পেশাজীবীর জন্য জনতা ব্যাংক লোন এর মেয়াদ হবে সর্বনিম্ন 2 বছর থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ চার বছর পর্যন্ত।

এই ঋণের জামানত হিসেবে প্রতিষ্ঠান প্রধানের প্রত্যায়নপত্রের প্রয়োজন হবে।

শিক্ষা লোন কর্মসূচি

শিক্ষা লোন কর্মসূচি ওই ব্যক্তি নিতে পারবে যে ব্যক্তি বিভিন্ন সরকারি আধাসরকারি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীতে কর্মরত কর্মকর্তা হিসেবে কমপক্ষে দুই বছর হয়েছে।

জনতা ব্যাংক শিক্ষা লোন সম্পর্কে আরও তথ্য

শিক্ষা লোন কর্মসূচি এই ঋণ নেয় কৃত ব্যক্তি কমপক্ষে 50 হাজার টাকা থেকে 1 লক্ষ টাকা লোন নিতে পারবে।

শিক্ষা লোন কর্মসূচির সুদের হার 11 শতাংশ অবধি বরাদ্দ থাকবে।

প্রতি মাসে মাসে ঋণ পরিশোধ করতে হবে এবং এই লোনের মেয়াদ থাকবে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর।

এই লোন নেওয়ার জন্য যথাযথ স্ট্যাম্পে দরখাস্ত সরকারের ঋণ গ্রহীতার গ্যারান্টি দিতে হবে।

গাভী পালন লোন

কোন ব্যক্তি যদি কৃষি কাজে নিয়োজিত থাকে এবং সেই ব্যক্তি যদি প্রকৃত কৃষক হিসেবে নির্বাচিত হয় তাহলে সেই ব্যক্তিকে গাভী পালনে ঋণ দেয়া হবে।

এই ঋণ মূলত একটি গাভীর জন্য 90000 টাকা বাবদ সর্বোচ্চ 4 টি গাভী ক্রয় করতে পারবে অর্থাৎ প্রত্যেকটি গাভীর জন্য 90 হাজার টাকা করে দেয়া হবে।

এক্ষেত্রে এই ঋণের সুদের হার পড়বে 9%।

কিস্তির ধারণ হবে পাক্ষিক এবং জামায়াতের কোনো দরকার নাই।

আশাকরি জনতা ব্যাংকের যে সমস্ত লোন সেবা রয়েছে সে সমস্ত লোক সেবা সম্পর্কে আমাদের অনুচ্ছেদ থেকে এবার আপনারা পরিপূর্ণভাবে জেনে নিতে পেরেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *