বাংলালিংক মিনিট চেক করার কোড ২০২৩

সুপ্রিয় বন্ধুরা, আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট এর পক্ষ থেকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। আজকে আমরা আপনাদের জন্য চমৎকার একটি টপিক সংগ্রহ করে নিয়েছি। আর টপিকটি  হলো বাংলালিংক মিনিট চেক করার কোড ২০২৩ আপনারা যারা বাংলালিংক সিম ব্যবহার করেন এবং মাঝে মধ্যেই মিনিট কিনে ব্যবহার করেন কিন্তু মিনিট চেক করার নিয়ম সম্পর্কে জানেন না তারা আজকে আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জেনে নিন।

আমরা সকলেই জানি বাংলালিংক এদেশের জনপ্রিয় একটি মোবাইল অপারেটর কোম্পানি। এদেশে যতগুলি মোবাইল অপারেটর কোম্পানি রয়েছে তাদের মতে বাংলালিংক অন্যতম। এবং গ্রাহক সংখ্যার দিক থেকে তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে তারা। একসময় তারা দ্বিতীয় স্থানে ছিল কিন্তু রবি এবং এয়ারটেল যৌথ প্রযোজনায় কাজ শুরু করলে বাংলালিংক দ্বিতীয় অবস্থান থেকে তৃতীয় অবস্থানে নেমে আসে।

কিন্তু তাতে কি বাংলালিংকের প্রতি এদেশের মানুষের যে আস্থা রয়েছে তার বিন্দুমাত্র ক্ষতি হয়নি। বরং দিন দিন বাংলালিংকের গ্রাহক সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এর অন্যতম কিছু কারণ রয়েছে, তার মধ্যে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ হলো বাংলালিংকের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক অবকাঠামো। কারণ গ্রামীণফোনের সাথে পাল্লা দিয়ে এদেশের এমন কোন স্থান নেই যেখানে বাংলালিংক তাদের নেটওয়ার্কে স্থাপন করতে সক্ষম হয়নি।

পাশাপাশি আরও কিছু কারণ রয়েছে তারমধ্যে সর্বনিম্ন কলরেট সুবিধা এবং দ্রুত গতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সুবিধা প্রদানের কারণেই বাংলালিংক তাদের গ্রাহক বৃদ্ধি করতে সক্ষম হচ্ছে। স্যার এই মূল্যবান গ্রাহকদের কথা মাথায় রেখেই বাংলালিংক প্রায় প্রতিনিয়ত ঐ নানান ধরনের অফার সরবরাহ করে থাকে। তাদের মধ্যে মিনিট অফার অন্যতম একটি সেবা। বর্তমানে এই মিনিট অফার টি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কেননা বর্তমানে কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই মিনিট কিনে ফোন করাটা বেশ সাশ্রয়ী। আর মিনিট কিনে ব্যবহার যারা করেন তাদের মিনিট চেক করার নিয়ম জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরী। আমাদের আজকের এই পোষ্ট থেকে আপনারা আজকে জেনে নিতে পারবেন।

আপনি কি একজন বাংলালিংক সিমের গ্রাহক? আপনি কি ঊর্ধ্বগতির কল রেট নিয়ে চিন্তিত? আপনি কি মিনিট প্যাকেজ কিনে কল করে থাকেন? আপনি কি মিনিট কেনার পর কিভাবে তা চেক করতে হয় তা জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আমরা বলবো আপনি সঠিক স্থানে অবস্থান করছেন। কারণ আজকে আমরা আপনাদেরকে মিনিট চেক করার নিয়ম সম্পর্কে জানিয়ে দেবো।

আপনি যদি আমাদের আজকের এই পোষ্ট টি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধৈর্য সহকারে মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে বাংলালিংক সিম দিয়ে মিনিট চেক করার কোড সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন। আমাদের পোস্ট এর নিচের দিকে কোড টি দেওয়া আছে। আশা করছি আপনারা আমাদের সঙ্গেই থাকবেন।

বর্তমানে মোবাইল কলরেট এর ঊর্ধ্বগতি থাকার কারণে সকলেই খুঁজে বেড়ায় যে কিভাবে আমরা কম রেটে কথা বলতে পারি। আর এদের মধ্যে অন্যতম সেবাটি হলো মিনিট কিনে কথা বলা। কারণ যারা প্রচুর পরিমাণে অফলাইনে কথা বলে তাদের জন্য মিনিট কিনে কথা বলা সর্বোত্তম মাধ্যম। এটি যেমন সাশ্রয়ী তেমন নির্ভরযোগ্য বটে। কারণ কোথাও কল করে যদি বার বার চিন্তা করতে হয় যে কত টাকা কেটে নিচ্ছে কম্পানি? তাহলে অনেক সময় দেখা যায় টাকার চিন্তা করতে গিয়ে আমরা একে অপরকে সঠিক মেসেজটি ও পৌঁছাতে পারি না। কথোপকথনের মাঝে যদি টাকার চিন্তা মাথায় চলে আসে তাহলে গুরুত্বপূর্ণ অনেক মেসেজ বা কথা বাদ পড়ে যায়।

এই সমস্ত ক্ষেত্রে আমাদের সঠিক সিদ্ধান্ত হল মিনিট ক্রয় করে ব্যবহার করা। কারণ মিনিট কিনে কথোপকথন করলে কোন প্রকার চিন্তা ছাড়াই আমরা কথোপকথন সেরে নিতে পারি। কারণ মিনিট ক্রয় করার সময় একটি নির্দিষ্ট পরিমান টাকা আমাদের মূল ব্যালেন্স থেকে তো কেটে নিয়েছেই। তাই নতুন করে আর টাকা কাটার কোন ভয় নেই। যখন এমনটি আমাদের মাথায় থাকে তখন আমরা একে অপরের সাথে কথোপকথন নির্বিঘ্নে চালিয়ে যেতে পারি।

কিন্তু জরুরী বিষয় এই যে, আমরা যখন মিনিট কিনে কথা বলবো তখন আমাদের অবশ্যই মিনিট চেক করার কৌশল জানতে হবে। আর যদি তা আমরা না করি তাহলে আমরা এর সঠিক ব্যবহার করতে পারবো না। কারণ সকলেই একই পরিমাণ মিনিট ক্রয় করে না। কেউ অল্প পরিমাণ মিনিট ক্রয় করে আবার কেউ বেশি পরিমাণে ম্যানেজ করে করে। এটি নির্ভর করে চার্জার প্রয়োজন এবং সামর্থের উপর। অনেক সময় দেখা যায় যে জরুরী প্রয়োজনের জন্য কেউ অল্প পরিমাণ মিনিট কিনেছেন। এবং চেয়েছেন যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথোপকথন নির্দিষ্ট কিছু মানুষের সাথে তিনি করবেন।

কিন্তু মিনিট চেক করার নিয়ম না জানার কারণে তিনি তার সঠিক প্রয়োগ করতে পারেননি। কারণ কার সাথে তিনি কতটুকু কথা বলেছেন সে ধারণা তার ছিল না। কোথাও হয়তো তিনি বেশি কথা বলে ফেলেছেন কিন্তু যখন তার জরুরী প্রয়োজন হল তখন তিনি আর কারো সাথে ফোন করে কথা বলতে পারছেন না কারণ তার মিনিট ব্যালেন্স শেষ হয়ে গেছে। তাই এসব ক্ষেত্রে তার ব্যালেন্স চেক করার নিয়ম জানাটা জরুরী ছিল। কিন্তু নিয়ম না জানার কারণে তার সঠিক প্রয়োগ তিনি করতে পারেননি।

আবার আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা বেশি পরিমাণে মিনিট কিনে বেশি বেশি কথোপকথন করে থাকেন। অনেক সময় তাদের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে বেশি মিনিট কেনার কারণে তাদের মূল ব্যালেন্সে মিনিট যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে কিন্তু তাদের মেয়াদ কাল শেষ হয়ে যায়। আর যখন মেয়াদকাল শেষ হয়ে যায় তখন মূল ব্যালেন্সে থাকা মিনিট গুলো পুরোপুরিভাবে হারিয়ে যায়। যা আর কখনো ফিরে পাওয়া যায় না। সুতরাং এই সমস্ত ক্ষেত্রেও মিনিট ব্যালেন্স চেক করার নিয়ম ও মেয়াদকাল চেক করার নিয়ম জেনে রাখাটা খুব ই জরুরী। তাহলে চলুন আমরা এবার জেনে নেই কিভাবে তা আমরা চেক করব?

সাধারণত দুটি নিয়মে নেট ব্যালেন্স চেক করা যায়। একটি হল ইউএসএসডি কোড ডায়াল করার মাধ্যমে এবং অপরটি হল অ্যাপস এর মাধ্যমে। তাহলে আসুন আমরা দুইটি বিষয়ই বিস্তারিত ভাবে জেনে নেই। প্রথমে আমরা আলোচনা করব ইউএসএসডি কোড ডায়াল করে কিভাবে মিনিট ব্যালেন্স চেক করা যায়?

বাংলালিংক সিম থেকে মিনিট ব্যালেন্স চেক করার জন্য আপনাদেরকে একটি নির্দিষ্ট কোড ডায়াল করতে হবে। আর কোড টি হলো *121*100# এটি ব্যবহার করার জন্য প্রথমে আপনাকে আপনার ফোনের ডায়াল অপশনে যেতে হবে এরপরে আপনারা উপরোক্ত কোড টি টাইপ করুন। এরপর সেন্ড বাটনে ক্লিক করুন। আর সাথে সাথেই আপনারা আপনাদের স্ক্রিনে আপনাদের অবশিষ্ট মিনিট, মেয়াদকাল এবং ইন্টারনেট প্যাকেজ যদি কেনা থাকে তার পরিমাণ ও দেখতে পাবেন।

এবার আলোচনা করব আমরা অ্যাপস দিয়ে মিনিট চেক করার নিয়ম সম্পর্কে। আপনারা যারা স্মার্ট ফোন ব্যবহার করেন তারাই একমাত্র অ্যাপস ব্যবহার করে মিনিট ব্যালেন্স চেক করতে পারবেন। এ জন্য আপনাদেরকে দুটি জিনিস প্রয়োজন হবে। একটি হল স্মার্ট ফোন এবং ইন্টারনেট কানেকশন। এ দুটির একটি কম হলেও আপনারা অ্যাপস ব্যবহার করে মেয়েদের চেক করতে পারবেন না।

আপনি যদি স্মার্টফোনের মাধ্যমে আপনার ক্রয় কৃত মিনিট ব্যালেন্স চেক করতে চান তাহলে আপনাকে গুগল প্লে স্টোর থেকে মাই বি এল অ্যাপস নামক বাংলালিংক এর একটি নিজস্ব অফিশিয়াল অ্যাপস ডাউনলোড করে নিতে হবে। এটি একটি সাধারণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে অ্যাপস এর মধ্যে প্রবেশ করতে হয়। যখন আপনি তা করে নিবেন এবং অ্যাপস এ প্রবেশ করবেন তখন আপনি আপনার মিনিট ব্যালেন্স, ইন্টারনেট ব্যালেন্স, এসএমএস ব্যালেন্স, নিজ ব্যালেন্স এর টাকার পরিমান সহ নানান ধরনের অফার সবকিছুই আপনি অ্যাপস এর মধ্যে পেয়ে যাবেন।

সুতরাং এগুলো ছিল বাংলালিংক এর মিনিট ব্যালেন্স চেক করার কৌশল সমূহ। আমরা প্রতিটি বিষয় বিস্তারিতভাবে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। যাতে করে আপনারা খুব সহজেই এগুলো অনুধাবন করতে পারেন এবং বুঝতে পারেন। আশা করছি আপনারা খুব ভালোভাবেই এগুলো বুঝতে পেরেছেন এবং এখন থেকে নিজে নিজেই নিজের ক্রয় করা মিনিট ব্যালেন্স চেক করতে পারবেন এবং এর জন্য আপনাকে আর কারো কাছে সাহায্য চাইতে হবে না।

আপনাদের যদি আজকের এই পোস্ট থেকে আরো কোন কিছু জানার প্রয়োজন থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাবেন। এছাড়াও বাংলালিংকে অন্যান্য অফার সমূহ জানতে আমাদের ওয়েবসাইট এর সূচিপত্র থেকে দেখে নিতে পারেন। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ। নতুন নতুন আপডেট পেতে আমাদের পেজের সাথেই থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *