১ ডলার বাংলাদেশের কত টাকা ২০২৩

বর্তমানে কিছু পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশের টাকার সঙ্গে আমেরিকার ডলারের বেশ পার্থক্য পরিলক্ষিত হচ্ছে। যত দিন যাচ্ছে টাকার বিপরীতে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাধারণত এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় তার কারণ হচ্ছে আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য এবং আন্তর্জাতিক অর্থনীতি টিকিয়ে রাখতে হলে আপনাকে অবশ্যই ডলার সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। আপনাদের সকলকে স্বাগতম জানাচ্ছি আমাদের আজকের এই ছোট্ট আর্টিকেলে যেখান থেকে আপনারা বর্তমানে বাংলাদেশের টাকার সঙ্গে ডলারের পার্থক্য বা ডলার রেট সম্পর্কে ধারণা পাবেন।

সাধারণত দেশের অভ্যন্তরে বিনিময়ের জন্য আমরা যে মুদ্রা ব্যবহার করি সেই মুদ্রার নাম হচ্ছে টাকা। স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকে বাংলাদেশে টাকার প্রচলন হয়ে আসছে এবং এই টাকার মাধ্যমে আমরা একে অন্যের সঙ্গে বিভিন্ন ক্রয় করা থেকে শুরু করে পণ্য বিক্রয় এবং পণ্য বিনিময় করে থাকে। বর্তমানে টাকার গুরুত্ব এতটাই বেড়েছে যে মানুষ টাকা উপার্জনের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে চলেছে।

তার কারণ হচ্ছে টাকায় বর্তমানে আপনাকে সাফল্য এনে দিতে পারে এবং সেই টাকায় আপনাকে আপনার চাহিদা মেটাতে পারে। তবে হ্যাঁ সেই চাহিদাগুলো যদি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বাইরের দেশে হয়ে যায় তাহলে আপনাকে টাকার মায়া ছাড়তে হবে। তখন টাকা দিয়ে আপনারা কিচ্ছু হবে না তবে এখানে একটি ভুল ধারণা অনেকের থাকতে পারে সেটা হচ্ছে টাকা তখন মূল্যহীন হয়ে যায়। এটা একেবারে ভুল ধারণা টাকা মূল্যহীন হয় না তখন আপনি যেই দেশের কাছে আপনার প্রয়োজন মেটাতে যাবেন সেই দেশের মুদ্রা প্রয়োজন পড়বে এবং তার জন্য আপনাকে প্রথমত টাকা থেকে ডলারের রূপান্তর করতে হবে এবং তারপর ডলার থেকে সেই দেশের তাকাতে রূপান্তর করতে হবে।

এক কথায় আন্তর্জাতিক সকল ধরনের লেনদেনের জন্য ডলার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি মুদ্রা এবং লেনদেনের জন্য একমাত্র ব্যবহার উপযোগী মুদ্রা হচ্ছে ডলার। কিন্তু বিশ্ব যুদ্ধ পরিস্থিতি এর পরিবর্তন এনে দিয়েছে এবং এখন দেখা যাচ্ছে কিছু কিছু দেশ বড় কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে যেখানে ডলারের বিপরীতে তাদের নিজস্ব মুদ্রার মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা অথবা বিনিময় সম্পন্ন করা হচ্ছে। যদিও এটা একেবারেই শুরুর দিক এবং এটা কতদিন এই ভাবেই চলতে থাকবে সেটা বলা অনিশ্চিত তবে বর্তমানে এটার প্রভাব ব্যাপক হারে ডলার রেটের উপর পড়েছে যার কারণে বাংলাদেশী টাকার সঙ্গে ডলার রেটের পার্থক্য আরো বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।

আজকের ১ ডলার সমান বাংলাদেশের কত টাকা

অনেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করে থাকেন এবং উত্তর খুঁজতে গেলে শুধুমাত্র সরাসরি সেই প্রশ্নের উত্তর দিলে হয় না তার সঙ্গে সংযুক্ত করতে হয় অনেক তথ্য। আমরা মূলত আর্টিকেল লিখতে বসলে এই বিষয়টি মাথায় রাখি এবং চেষ্টা করি একটি তথ্য দেওয়ার পাশাপাশিতে সেই তথ্যের আশেপাশে যে ইতিহাসগুলো আছে এবং সেই তথ্যের আশেপাশে যে নতুন তথ্য গুলো রয়েছে সেগুলো সংযুক্ত করতে এতে করে যিনি আমাদের আর্টিকেল পড়বেন তিনি সঠিক তথ্য পাবেন এবং তার জ্ঞানের পরিধি অনেক বড় হবে। আমরা যেই দিনে এই আর্টিকেল লিখতে বসেছি সেই দিনের ডলার রেট সম্পর্কে আজকে আপনাদের ধারণা দেবো।

আজকে আমরা যেই দিনে এই আর্টিকেল লিখতে বসেছি সেই দিনে বাংলাদেশের টাকার সঙ্গে ডলার রেটের পার্থক্য বলতে গেলে অনেক বড় পার্থক্য বলতে হয়। সাধারণত ডলার হচ্ছে আমেরিকান মুদ্রা এবং সেই আমেরিকার মুদ্রার বিপক্ষে বাংলাদেশী টাকা বর্তমানে ১০৬.৪৯ বাংলাদেশী টাকা। অর্থাৎ আজকের দিনে আমেরিকার ১ ডলার সমান সমান বাংলাদেশি ১০৬.৪৯ টাকা। আশা করছি আপনারা পরিষ্কার ভাবে বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন যদি কোন সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে আমাদের প্রশ্ন করতে পারেন এবং জেনে নিতে পারেন আপনার সমস্যার সমাধান।

আজকের আমেরিকান ডলার থেকে বাংলাদেশী টাকা রেট কত

এইতো কিছুদিন আগের কথা বর্তমানে যে ডলার রেট প্রদান করা হচ্ছে তার থেকে অনেক কম ছিল ডলার রেট। এখন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কিছুটা হলেও সহনযোগ্য পরিস্থিতিতে ছিল কিন্তু এখন সেই অর্থনীতি একেবারে টালমাটাল অবস্থা। দ্রব্যমূল্যে মান কোনভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। চাহিদার থেকে অনেক কম দ্রব্যমূল্য থাকায় এখানে ভুক্তভোগী হচ্ছেন সাধারণ জনগণ এবং সম্পূর্ণ লাভবান হচ্ছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী।

কিন্তু সরকার যখন এখানে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করছেন তখন সবার প্রথমে যে জিনিসটি প্রয়োজন সেটা হচ্ছে চাহিদার পরিমাপের পণ্য এবং সেই পণ্য ক্রয় করতে গেলে সরকারকে প্রচুর পরিমাণে ডলার ক্রয় করতে হবে। কিন্তু বিশ্ব অর্থনীতির টালবাটল অবস্থার কারণে ডলার ক্রয় করা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে যাচ্ছে এবং যার প্রভাবে গোটা বিশ্বে ডলার রেটের বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে। যখন এই ডলার রেট প্রায় ৮০ টাকার কাছাকাছি ছিল তখনও আমরা স্বপ্ন দেখতাম এই ডলারের আরো কিভাবে কমিয়ে আনা যায় এবং দেশের অর্থনীতিকে কিভাবে আরো মজবুত করা যায়।

কিন্তু কয়েকদিনের ডলার রেট বৃদ্ধিতে আমাদের ঠিক এটা বুঝিয়ে দিল যে আমাদের অর্থনীতি কতটা নড়বড়ে অর্থনীতি এবং তার ওপর নিয়ন্ত্রণ আমাদের নেই বললেই চলে। করে কয়েকদিনের ব্যবধানে ডলার রেট এত পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে যে আমরা সেটা কোনভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। এই বছরের শুরুর দিকেই ডলার রেট ছিল প্রায় ৮৫ টাকার কাছাকাছি এবং সেই ডলার রেট বাড়তে বাড়তে সর্বোচ্চ ১০৯ টাকার কাছাকাছি গিয়েছে। তখনও আমাদের কাছে কোন নিয়ন্ত্রণ ছিল না এবং এখনো নেই তবে বর্তমানে এই রেট কিছুটা কমে ১০৬.৪৯ টাকায় এসেছে।

যদি বর্তমানে আমরা হিসেব করি ৫০০ টাকায় কত ডলার ক্রয় করা যাবে তাহলে আমরা খুব সহজেই সে হিসাবটি মিলাতে পারি আমাদের এই তথ্য থেকে। তবে তার আগে জানতে হবে আপনি যদি 500 ডলার ইনকাম করেন তাহলে আপনার কত টাকা বাংলাদেশ টাকা ইনকাম দাঁড়ালো। সাধারণত এই প্রশ্নটি করে থাকেন বিভিন্ন প্রবাসী ভাই বোনেরা তার কারণ হচ্ছে তারা যখন বিদেশে অবস্থান করেন তখন বিভিন্ন দেশে মূলত ডলারের ভিত্তিতে বেতন প্রদান করা হয়। অথবা দেশে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে ডলারের মাধ্যমে তাদের টাকা পাঠাতে হয় সেই হিসেব করলে বর্তমানে ৫০০ ডলারে বাংলাদেশি টাকা দাঁড়াচ্ছে ৫৩ হাজার ২৪২ টাকা।

আর হ্যাঁ আপনি যদি বাংলাদেশী 500 টাকা নিয়ে ডলার কিনতে চান তাহলে সেখানে আপনাকে প্রদান করা হবে 4.70 ডলার। মূলত এতটা পার্থক্য থাকার কারণে আমাদের মতন ছোট অর্থনীতির দেশগুলো অনেক বেশি কষ্ট করছে। তবে এর প্রভাবগুলো পড়ছে মূলত সাধারণ জনগণের ওপরে যাদের আয়ের থেকে ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং মানুষের ইনকামের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য তৈরি হচ্ছে। কিছু শ্রেণীর মানুষ আছে যারা উচ্চ আয়ের মানুষ ছিল তাদের আয়ের পরিধি আরো বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু যারা নিম্ন আয়ের মানুষ ছিল তাদের পরিধি আরো নিচের দিকে চলে যাচ্ছে। এই পার্থক্যের কারণে মূলত অর্থনীতি এখন পর্যন্ত ঠিকঠাক ভাবে দাঁড়াতে পারছে না।

মার্কিন ডলারকে বাংলাদেশি টাকায় রূপান্তর

মার্কিন ডলারকে বাংলাদেশি টাকায় রূপান্তর এই জিনিসটা অনেকেই জানেন না বা করতে পারেন না। সাধারণত আপনার আমার মতন সাধারণ মানুষের হয়তো এই কাজটি জানার প্রয়োজন নেই তার কারণ হচ্ছে তারা ডলার নিয়ে কি করবে। যারা সাধারণত ডলার নিয়ে ব্যবসা করে বা ডলারের মাধ্যমে ইনকাম করে তাদের এই কাজটি করা লাগতে পারে।

আপনি যে কোন দেশের মধ্যে সঙ্গে যে কোন দেশের মুদ্রার রেট এর পার্থক্য গুগলের মাধ্যমে করতে পারেন। এজন্য আমাদের দেওয়া লিঙ্ক google.com ব্যবহার করে সরাসরি প্রবেশ করে সেখানে আপনি একটু বুঝে শুনে ডলার রেটের পার্থক্য বা বর্তমানে ডলারের পার্থক্য খুব সহজেই করে নিতে পারবে। যদি সে দে আপনার কোন সমস্যা হয় তাহলে আমাদের জানাতে পারেন আমরা আপনাদের ইনবক্সের মাধ্যমে সে বিষয়ে আরো ভালোভাবে তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *