ওমরা হজ করতে কত টাকা লাগে

সাধারণত যাদের ফরজ হজে পালন করা হয় না তাদের জন্য একটি বিশেষ সুবিধা আছে এবং সেই সুবিধা অনুযায়ী বছরে যে কোন সময় আপনি ওমরা হজ পালন করতে পারবেন। সাধারণত সৌদি সরকার নির্দিষ্ট হজের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণে বিভিন্ন দেশ থেকে লোক নেয়। কিন্তু ওমরা হজ পালনের জন্য তাদের কোন নির্দিষ্টতা নেই বছরের যে কোন সময় যে কেউ সেখানে উপস্থিত হয়ে তোমরা হজ পালন করতে পারবে। সাধারণত যাদের আর্থিকভাবে সমস্যা রয়েছে অথবা যারা একবার ফরজ হজ পালন করেছে তাদের পরবর্তীতে আবার হজ পালন করতে গেলে ওমরা হজ করার গুরুত্ব বেশি থাকে।

আজকের এই আর্টিকেল থেকে আমরা জানার চেষ্টা করব ওমরা হজ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য এবং সে সম্পর্কে খুঁটিনাটি অনেক বিষয়। সবার প্রথমে আমরা আলোচনা করব অর্থের ব্যাপার নিয়ে তার কারণ হচ্ছে আপনি যতই নিয়ত করুন না কেন আপনার কাছে যদি অর্থ না থাকে তাহলে কোনভাবেই আপনি হজ পালন করতে পারবেন না। এখন ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময় এই সময় ফরজ হজ নিয়ে সকলেই ব্যস্ত রয়েছে তাই এই সময় ওমরা হজের খরচ সম্পর্কে ধারণা দিলে হয়তো সেটা সঠিক হবে না। এমনিতে মহামারীর পরবর্তী সময় থেকে হজের খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সৌদি সরকার বিভিন্ন চার্জ বাড়িয়ে দিয়েছে। ২০২৩ সালের শেষের দিকে এবং ২৪ সালের শুরুর দিকে ওমরা হজের খরচ আনুমানিক কত হতে পারে সে সম্পর্কে আজকে আলোচনা করব।

ওমরা হজ প্যাকেজ ২০২৩

এখানে আপনাদের জানানো হবে ২০২৩ সালে এবং ২০২৪ সালে ওমরা হজ পালন করতে গেলে কি পরিমান খরচ হতে পারে। সাধারণত এটি সরকারি একটি প্যাকেজ এছাড়াও বিভিন্ন এনজিও প্রতিষ্ঠান আছে যারা এ ধরনের প্যাকেজের মাধ্যমে ওমরা হজ পালনে সকলকে সাহায্য করে। আপনি যদি সরকারি আওতায় প্যাকেজের মাধ্যমে ওমরা হজ পালন করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার খরচের পরিমাণ কমে আসবে। সরকার ও অবশ্য বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সি এবং বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে একযোগে এই কাজটি সম্পাদন করে। এখানে সৌদি আরবের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সংযুক্ত।

২০২৩ সালের শেষের দিকে এবং ২০২৪ সালের শুরুর দিকে বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে আপনি যদি ওমরা হজ পালন করতে চান তাহলে কি পরিমান খরচ হতে পারে সেটা এখন জানার বিষয়। চলতি বছরে ওমরা হজ পালন করার ক্ষেত্রে একজন মানুষের ১৫০,০০০ টাকার মত খরচ হতে পারে। এটা আনুমানিক একটি ধারণা । এরমধ্যে সকল ধরনের প্যাকেজ অন্তর্ভুক্ত। এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে যে সুযোগ সুবিধা প্রত্যেকেই উপভোগ করতে পারবেন।

প্যাকেজের মধ্যে প্রধান যে জিনিসটা সকলে জানতে চাই সেটা হচ্ছে যিনি ওমরা হজ পালন করতে যাবে তাকে কত দিন সৌদি আরবে রাখা হবে থাকার অনুমতি দেওয়া হবে। আপনারা যারা ওমরা হজ পালন করতে যাচ্ছেন তাদের এই প্যাকেজের আওতায় 7 থেকে 14 দিন সৌদি আরবে অবস্থান করতে দেওয়া হবে। তবে এখানে আমরা আনুমানিক একটি ধারণা দিয়েছি আপনারা চাইলে এর থেকে কম খরচের মাধ্যমে ঘুরে আসতে পারেন অথবা চাইলে থেকে বেশি খরচেও আপনার কাজ সম্পাদন হতে পারে। তবে মহামারী পরবর্তী সময়ে সৌদি সরকার কর্তৃপক্ষ কিছু বিষয়ে চার্জের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়ার কারণে এখন আর এর কমে কোনোভাবেই হজ পালন করা সম্ভব হয়ে উঠছে না।

তাহলে সহজ ভাষায় এটা বলা যায় যে বর্তমানে আপনি যদি ওমরা হজ পালন করতে চান তাহলে আপনার আনুমানিক ১৫০,০০০ টাকা খরচ হতে পারে। সঙ্গে আনুষাঙ্গিক আরো অন্যান্য খরচ আছে সব মিলিয়ে আপনি ২০,০০০ টাকা থেকে ২২০,০০০ টাকার মতো বাজেট করতে পারেন।

 

 

ওমরা হজ করতে কতদিন লাগে

অনেকেই একটি বিষয় পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারেনা সেটা হচ্ছে ওমরা হজ পালন করার জন্য কি পরিমাণ সময় দেওয়া হয়। সময়ের আওতার কথা যদি আমরা বলি সেখানে আপনাকে যে ভিসা প্রদান করা হবে সেখানে ৯০ দিনের ভিসা প্রদান করা হয়। ৯০ দিনের ভিসাতে আপনি সেখানে যেতে পারবেন তবে আপনি যেই ওমরা হজ পালনের প্যাকেজের আওতায় যাচ্ছেন সেখানে ৭ থেকে সর্বোচ্চ ১৪ দিন আপনাকে রাখা হবে।

তোমরা হজ পালন করতে ২ থেকে ৩ দিন এর বেশি সময় লাগে না তাই আমার মনে হয় সেখানে আপনাকে হজ বাদেও ঘোরাফেরার জন্য যথেষ্ট সময় দেওয়া হচ্ছে । তবে আপনি যদি এর বাইরে আরও বেশি দিন বা আরো দীর্ঘ সময় সেখানে থাকতে চান তাহলে সম্পূর্ণ নিজের খরচে সেখানে আপনাকে থাকতে হবে । এর জন্য অবশ্যই আপনাকে এজেন্সির সঙ্গে কথা বলতে হবে এবং তাদের মতামত অনুযায়ী পরামর্শ করে সেখানে অবস্থান করতে হবে।

ওমরা হজ ভিসা ফ্রি ২০২৩

ওমরা হজ পালন করতে চাচ্ছেন কিন্তু বিভিন্ন তথ্য আপনার কাছে না থাকার কারণে আপনি বুঝে উঠতে পারছেন না কিভাবে ওমরা হজ পালন করতে হবে বা এর জন্য যেতে হবে। সবার প্রথমে একটি পাসপোর্ট আপনাকে তৈরি করতে হবে এবং তারপরে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। আপনার কাছে যদি ওমরা হজ পালনের জন্য ভিসা না থাকে তাহলে কোন এজেন্সি আপনাকে ওমরা হজ পালনের জন্য নিয়ে যেতে পারবে না। ওমরা হজ ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে যে কাগজগুলো সংরক্ষণ করতে হবে বা রেডি রাখতে হবে সেগুলো হল :-

আপনি যে পাসপোর্ট এর মাধ্যমে ওমরা হজে যেতে চাচ্ছেন সেই পাসপোর্ট এর নূন্যতম ৬ মাস মেয়াদ থাকতে হবে এবং কমপক্ষে পাসপোর্টে চারটি পেজ ফাঁকা থাকতে হবে।

দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি তার ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা কালার হতে হবে অর্থাৎ যিনি ওমরা হজ পালন করতে চাচ্ছেন তার দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।

যিনি হজ পালনের উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন তার অরিজিনাল জাতীয় পরিচয় পত্রের প্রয়োজন হতে পারে। যারা শিশু আছে তাদের ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন পত্র। তবে সৌদি কর্তৃপক্ষ একটি নতুন নিয়ম করেছে যেখানে ১২ বছর এর নিচে কেউ হজ পালন করার জন্য অন্য দেশ থেকে যেতে পারবে না এটা নিয়ে একটু জানার প্রয়োজন রয়েছে সকলকে।

এখন যদি আমরা ওমরা হজ এর ফি সম্পর্কে কথা বলি তাহলে মূলত আমরা সৌদি রিয়ালে আপনাদের সঙ্গে কথা বলব। মূলত ওমরা হজ এর বিভিন্ন খরচের মধ্যে সবথেকে বড় খরচ হচ্ছে ওমরা হজ এর ফি। এটা সৌদি সরকার এর হজ কর্তৃপক্ষরা নিয়ে থাকে এবং সেখানে ভিসার জন্য যে খরচ ধরা হয়েছে সেটা হচ্ছে ৭০০ রিয়াল। সৌদি মুদ্রার নাম হচ্ছে রিয়াল এবং সেই মুদ্রা বাংলাদেশী টাকা থেকে অনেক দামি। সে ভিসার মূল্য আপনি আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে চেক করে নিতে পারেন সৌদি 700 রিয়াল সমান বাংলাদেশি কত টাকা।

এখানে শেষ নয় এর পাশাপাশি আরো কিছু খরচ আছে যে খরচ গুলো সব মিলিয়ে যদি যোগ করা হয় প্রায় আরও ২০০ রিয়াল এর মত খরচ হতে পারে। টোটাল এখানে ৭০০ রিয়াল পর্যন্ত আপনাকে ওমরা হজের ফি প্রদান করতে হতে পারে। এর বাইরে অন্যান্য খরচ বলতে গেলে আপনি যদি ১৪ দিনের বেশি সৌদি আরবে অবস্থান করতে চান তাহলে তারপর থেকে সম্পূর্ণ খরচ আপনার নিজের।

এই খরচে আপনাকে এতদিন পর্যন্তই সেখানে রাখা হবে এবং আপনি যার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তারপর থেকে তারা আপনার খরচের আর কোন দায়ভার নিতে রাজি হবে না। আশা করছি ওমরা হজ সম্পর্কে অনেক তথ্য আমাদের এই ছোট্ট আর্টিকেল থেকে আপনারা আজকে সংগ্রহ করতে পারলেন। যদি কোন ধরনের জটিলতা দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই আমাদের সেটা আপনারা জানাতে পারেন।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *