কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে শুধুমাত্র যে শিক্ষিত বেকার আশেপাশে ঘোরাঘুরি করছে এমন নাই অশিক্ষিত হাজার হাজার বেকার আছে। যারা কাজের অভাবে সারাদিন শুয়ে বসে দিন পার করছে। আমার কাছে মনে হয় আমাদের দেশের একটি সংস্কৃতি আমাদের এই বেকারত্বকে বাড়িয়ে দিয়েছে। আর সেটা হচ্ছে উপযুক্ত বয়স। আমি আরো পরিষ্কারভাবে বিষয়টি আপনাদের সামনে তুলে ধরছি যেটার মাধ্যমে আপনারা বিষয়টি বুঝতে পারবেন।

আমাদের দেশে যে সংস্কৃতি রয়েছে সেই সংস্কৃতি অনুযায়ী আমাদের একটি উপযুক্ত বয়স হতে হবে অর্থ উপার্জনের জন্য। তারপরে আমরা অর্থ উপার্জনের জন্য পরিকল্পনা করতে পারব এবং বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারব। এবং সেই সংস্কৃতি অনুযায়ী আমরা অপেক্ষা করি কবে আমরা বড় হব এবং অর্থ উপার্জন করব।

এই সময়টুকুর মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই পড়াশুনায় ব্যস্ত থাকে যার কারণে টাকা উপার্জনের কোন কিছুই তার মাথায় ঢোকে না বা সে জানতে চায় না সে শুধু পড়াশোনা নিয়েই ব্যস্ত থাকে। কিন্তু কঠিন বাস্তবতা এই হচ্ছে আপনি যাই করছেন না কেন দিনশেষে আপনি হবেন একটি টাকা উপার্জনের মেশিন তাই আপনাকে আগে থেকেই সেই বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া না গেলে আপনাকে যখন ভরা গ্যালারির সামনে দর্শক ভর্তি মাঠে খেলতে নামিয়ে দেওয়া হয় অবশ্যই আপনি ভোরকে যাবেন।

আমাদের সঙ্গেও ঠিক একই কাজটা হয়ে চলেছে যেখানে আমরা ১৫ থেকে ১৮ বছর এমনকি পঁচিশ বছর পর্যন্ত কোনো ধরনের কাজ ছাড়া শুয়ে বসে শুধুমাত্র পড়াশোনার মাধ্যমে নিজের জীবন অতিক্রম করছি। অনেকের ক্ষেত্রে পড়াশোনা না করলেও এটা একই রকম হয়ে যায় এবং আরেকটি কালচার একসঙ্গে যুক্ত আছে সেটা হচ্ছে বিয়ে। বিয়ে করার বয়স হলেই তখন সন্তানকে উপযুক্ত বলে মনে করা হয় এবং তখনই সন্তানকে কাজের জন্য বলা হয় সে শিক্ষিত হোক আর বেকার হোক।

কিন্তু আমার কাছে মনে হয় বিয়ের জন্য উপযুক্ত বয়স থাকলেও টাকা ইনকামের জন্য উপযুক্ত বয়স নেই এবং আমাদের কালচার অনুযায়ী সেই বয়সের অপেক্ষায় আমাদের জীবনের অর্ধেক সময় নষ্ট করি। আপনি বইয়ের বিশ্বাস দেখে লক্ষ্য রাখতে পারেন যেখানে কোটিপতিদের খুব অল্প বয়সেই কোটিপতি হতে দেখা যায় যেটা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একেবারেই অসম্ভব। বহির বিশ্বে তারা কোটিপতি হচ্ছে ৩০ বছর বয়সে আর আমাদের দেশে ৩০ বছর বয়সে খুব বেশি হলে 40-50 % ছেলে বা মেয়ে তার প্রথম উপার্জনের টাকা এসে মায়ের হাতে ধরিয়ে দেয় অথবা বউয়ের হাতে ধরিয়ে দেয় এটাই হচ্ছে আমাদের দেশের পার্থক্য।

যাইহোক আপনি যদি সুস্থ থাকেন তাহলে বহির্বিশ্বের সঙ্গে আপনার যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে এবং এর জন্য আপনাকে মোবাইল এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করে অর্থ উপার্জনের সোর্স করতে হবে। বড় নির্ভরশীল হওয়া থেকে দূরে থাকুন এবং নিজে নিজের কাজ শিখে নিন এবং যত কম বয়সী হোক না কেন আপনি কাজ করতে শুরু করে দিন। আজকে আমরা আপনাদের ইনকাম করার কিছু সহজ পদ্ধতি শেখাব ঘরে বসে যেগুলো আপনি এপ্লাই করতে পারেন। এখানে বেশ কয়েকটি পদ্ধতি আমরা একসঙ্গে আপনাদের জানা দিচ্ছি, তাই বিস্তারিত আলোচনা করার সুযোগ কম রয়েছে বিস্তারিত অন্য আর্টিকেলে আলাদা আলাদা ভাবে আলোচনা করা হবে।

মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায়

মোবাইল বর্তমান পৃথিবীতে এমন একটি ডিভাইস যেই ডিভাইসারা বর্তমান আধুনিক পৃথিবী কল্পনা করাই যায় না। আপনি ঘুম থেকে উঠে এবং ঘুমাতে যাওয়ার আগে যা কিছু করছেন তার মধ্যে সবথেকে বেশি অবদান এই মোবাইল ফোনের এবং ইন্টারনেটের। শুধুমাত্র যে বহির্বিশ্ব এই জিনিসটা ব্যবহার করে উন্নতি করছে এমন নয় বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে প্রত্যেকটি গ্রামে এমন সন্তান খুঁজে পাওয়া যাবে যারা শুধুমাত্র মোবাইল দিয়ে ঘরে বসে তাদের সংসার চালাচ্ছে উপার্জনের মাধ্যমে।

আজকে আমরা মোবাইল দিয়ে এমন কিছু উপার্জনের কথা আপনাদের শিখিয়ে দেবো যে উপার্জন গুলো আপনিও করতে পারবেন আমিও করতে পারব শুধুমাত্র প্রয়োজন সঠিক লক্ষের। লক্ষ্য স্থির করতে হবে এর জন্য একটু কষ্ট করতে হবে এবং ধৈর্য সহকারে কাজ করতে হবে দেখবেন আপনি এক বছর হোক দুই বছর হোক সফল হয়ে গেছেন। মোবাইল দিয়ে কি কি কাজ করা যায় সে সম্পর্কে নিচে আমরা ছোট্ট পরিসরে আপনাদের কিছু জানাচ্ছি।

• আমার আর্টিকেল যারা পড়ছেন তাদের মধ্যে ফেসবুক আইডি নাই এমন ব্যক্তি হয়তো একটিও নাই। ফেসবুক আইডি না থাকলে আপনি বর্তমান যুগের মানুষই না। যাইহোক এই ফেসবুক আইডি দিয়ে আপনি চাইলে বর্তমানে মনিটরাইজেশন এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন শুধুমাত্র আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন ব্যবহার করে।

• আপনি আপনার হাতে থাকায় স্মার্টফোন ব্যবহার করে google এডসেন্স এর মাধ্যমে গুগল ইউটিউব চ্যানেল ব্যবহার করে ইনকাম করতে পারেন প্রতিদিন ঘরে বসে। বেশি কিছু জানার প্রয়োজন নেই আপনি যদি গ্রামে বসবাস করেন তাহলে প্রতিদিন আপনার গ্রামে কি ঘটছে তার মধ্য থেকে মজার মজার কিছু ঘটনা ক্যামেরা বন্দি করুন এবং ইউটিউবে ছাড়তে থাকুন। আমরা সকলেই গ্রাম থেকে উঠে এসেছে যখন আমাদের মতন ভিজিটররা সেগুলো দেখে মজা পাবে আস্তে আস্তে আপনার ভিজিট সংখ্যা বাড়বে এবং আপনি একদিন এখান থেকে ইনকাম করে স্বাবলম্বী হতে পারবেন।

• মোবাইলের মাধ্যমে আপনি ফেসবুক মার্কেটিং ব্যবহার করে নিজের ব্যবসা সফল করতে পারেন। মনে করুন আপনি আপনার বাপ দাদার ব্যবসা ছাড়তে পারেনি সেটা আঁকড়ে ধরে আছেন গ্রামে বসে। সেই বাপ দাদার ব্যবসা কে আধুনিকতার ছোঁয়া দিলে হয়ে যাবে সেটা বর্তমানের আধুনিক ব্যবসা এবং আপনি হতে পারবেন সেখান থেকে একজন সফল ব্যবসায়ী।

এর জন্য আপনার হাতে থাকা মোবাইলের প্রয়োজন এবং সেই মোবাইল ব্যবহার করে ফেসবুক মার্কেটিং এবং facebook বুষ্ট এর মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যবসাকে পৃথিবীর যেকোন আনাচে-কানাচে পৌঁছে দিতে পারেন এবং সেখান থেকে প্রচুর প্রচুর কাস্টমার সংগ্রহ করতে পারেন। আপনি আপনার অবস্থানে বসে থাকবেন এবং আপনার কাস্টমার তার অবস্থানে বসে থেকে দুজনের মধ্যে সকল কর্মকান্ড সম্পাদন হবে এবং লাভবান হবেন আপনি।

অনলাইনের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করার উপায়

অনলাইনের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করার বেশ কয়েকটি উপায় আছে আমি আপনাদের কোনটি বলব সেটা আমরা উল্টা আপনাকে প্রশ্ন করছি?? আমি যখন আর্টিকেল লেখা শুরু করি সেদিকে জানতাম অনলাইনের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করার হাজার পদ্ধতি আছে কিন্তু বর্তমানে সেটা বেড়ে গিয়ে কয়েক লক্ষ পদ্ধতিতে দাঁড়িয়েছে । তবে হ্যাঁ আমি কিছু পদ্ধতি এখন আপনাদের জানাবো যে পদ্ধতি গুলো আপনার আমার পক্ষে জানা সম্ভব এবং করা সম্ভব।

এমন কিছু জানাবো না যে পদ্ধতিগুলো বাংলাদেশের মানুষ ব্যবহার বা এপ্লাই করতে পারবেনা যেটা বেকার। বাংলাদেশের পরিবেশ এবং আমাদের পরিস্থিতির উপর বিবেচনা করেই আমি মূলত এই তথ্যগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরছি যাতে করে এই পদ্ধতি গুলো ব্যবহার করে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন।

বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে ইনকাম। এজন্য আপনাকে বিভিন্ন ধরনের ব্লক তৈরি করতে পারেন। এজন্য আপনি চাইলে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও তৈরি করতে পারেন। আপনি যেটা পারেন শুধুমাত্র সেটাই সুন্দরভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে ভিডিও আকারে তৈরি করুন দেখবেন সেটাই হয়ে যাবে ইউনিক একটি কনটেন্ট যা আপনাকে সাহায্য করবে স্বাবলম্বী করতে।

এটা সম্পূর্ণ অনলাইনের মাধ্যমে ইনকামের ভালো একটি সোড যেখানে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে প্রায় ৫-৭ টি এমন প্ল্যাটফর্ম আছে যে প্লাটফর্মে আপনি কাজ করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ যদি বলতে হয় তাহলে facebook, youtube, instagram, টিক-টক ইত্যাদি হচ্ছে এই ধরনের প্লাটফর্ম যেখান থেকে আপনি সহজেই ইনকাম করতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *