ভাতার টাকা মোবাইলে দেখার নিয়ম ২০২৩

ভাতার টাকা বর্তমানে গরিব দুঃখী মানুষের এবং অসহায় মানুষের জন্য অত্যন্ত কাজের একটি জিনিস। সরকার কর্তৃক বিভিন্ন উৎস হতে অনুদান সংগ্রহের মাধ্যমে দুস্থ হতদরিদ্র এবং অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে মূলত এই ভাতার ব্যবস্থা চালু হয়েছে। বাংলাদেশের বর্তমানে বেশ কয়েক ধরনের ভাতা আছে তার মধ্যে রেগুলার যে ভাতা গুলো প্রদান করা হয় সেগুলোর মধ্যে রয়েছে বয়স্ক ভাতা এবং বিধবা ভাতা। আরেকটা বিষয় হচ্ছে শিশুদের পুষ্টি পূরণের লক্ষ্যে এবং গর্ভবতী মায়ের সুস্থতা নিশ্চিত করতে গর্ভবতী ভাতা এবং শিশু ভাতা প্রদান করা হচ্ছে।

এই ভাতার টাকা একটা মানুষের স্বপ্ন আর সেই স্বপ্ন খুব অল্প সময়ে ভেঙে যেতে পারে যদি একজনে টাকা অন্যজন চুরি করে নেয়। বেশিরভাগ মানুষই আছে যারা অশিক্ষিত এবং বয়স হয়ে গেছে এই বিষয়ে কম বোঝে তাদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে কিছু এমন মানুষ আছে যারা এই ভাতার টাকা মেরে দিচ্ছে। বিশেষ করে যে একাউন্টের মাধ্যমে ভাতার টাকা আসে সেই একাউন্টে হ্যাক করে অনেকেই এই প্রতারণা চালাচ্ছে। তাই আজকে আমরা আপনাদের শিখিয়ে দিব কিভাবে সঠিক উপায়ে নগদ থেকে অথবা বিকাশ থেকে এছাড়াও রকেট থেকে আপনি ভাতার টাকা চেক করে নিতে পারবেন। বয়স্ক ভাতা বিধবা ভাতা সম্পর্কে অনেক তথ্য আছে আমাদের এখানে আপনারা চাইলে সেগুলো জেনে নিন।

বয়স্ক ভাতার টাকা দেখার নিয়ম ২০২৩

সাধারণত যাদের অতিরিক্ত বয়স হয়ে গেছে এবং কাজ করার ক্ষমতা হারিয়ে গেছে তাদের মধ্যে হতদরিদ্র ,অসহায় মানুষের মধ্যে বয়স্ক ভাতার টাকা দেওয়া হয়। যাদের বিধবা ভাতা দেওয়া আছে তাদেরকে বয়স্ক ভাতা দেওয়া হয় না এবং যাদের বয়স্ক ভাতা দেওয়া আছে তাদের বিধবা ভাতা দেওয়া হয় না। প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর এই টাকা আসে কিন্তু যে একাউন্টে টাকা আসে সেটার বিষয়ে বয়স্ক মানুষের খুব একটা জানার কিছু থাকে না। তবে আপনি যদি জানতে চান বয়স্ক ভাতার টাকা কিভাবে একাউন্টের মাধ্যমে জানা যায় তাহলে আমাদের এখান থেকে আপনি জানতে পারবেন বয়স্ক ভাতা দেখার নিয়ম। আমরা সাধারণত নিচের অংশে আপনাদের বিকাশ নগদ এবং রকেটের মাধ্যমে কিভাবে বয়স্ক ভাতা দেখা হয় সেটা জানাবো। তাহলে চলুন জানার চেষ্টা করি সেই অংশে।

বিধবা ভাতা দেখার নিয়ম ২০২৩

বিধবা ভাতা এমন কিছু মানুষকে প্রদান করা হয় যারা দীর্ঘদিন ধরে বিধবা আছে এবং যারা অত্যন্ত গরিব এবং অসহায়। এ সকল মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এই ভাতার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং এই ভাতার টাকার মাধ্যমে তারা তাদের জীবন যাপন করে। আজকে আমরা আপনাদের জানাবো গরিবের সম্পদ এই ভাতার টাকা কিভাবে আপনি মোবাইলের মাধ্যমে দেখবেন সেটা। সম্পূর্ণ বিষয়টির নগদ ,রকেট অথবা বিকাশের মাধ্যমে সম্পাদন করা হয় তাহলে অবশ্যই আপনারা যদি ওই বিষয়গুলো সম্পর্কে অবগত হন তাহলেই বুঝতে পারবেন বিধবা ভাতার টাকা কিভাবে দেওয়া হয়।

শিশু ভাতা পাওয়ার নিয়ম ২০২৩

শিশুপাতা মূলত শিশুদের পুষ্টি গুনাগুন নিশ্চিত করতে দেওয়া হয়। বাল্য বিবাহের প্রবণতা আমাদের দেশে অনেক আগে থেকেই ছিল এখনো রয়েছে যেটা বন্ধ করা যাচ্ছে না। এবং দরিদ্রতার করাল গ্রাসে বেশিরভাগ শিশুই ছোটবেলা থেকে অপুষ্টি জনিত রোগে ভোগে এবং তারা সঠিকভাবে বেড়ে উঠতে পারে না যার কারণে তারা বড় হয়ে দেশের উন্নতিতে অংশীদারিত্ব করতে পারে না। প্রত্যেকটি শিশুর সঠিক পুষ্টির দৃষ্টিতে অসহায় দরিদ্র বাবা-মার মাঝে তার শিশুর জন্য শিশু ভাষার ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ সরকার। এটা পাওয়ার জন্য অবশ্যই শিশুর বয়স হতে হবে দুই বছরের নিচে এবং শিশুর বাবা-মায়ের আর্থিক অবস্থা খারাপ হতে হবে। সবথেকে নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্যই এই ভাতার ব্যবস্থা করা হয়েছে তাই এখানে কেউ যদি এরকম আপনার আশেপাশে থেকে থাকে তাহলে আপনি তাকে শিশুভাতার ব্যবস্থা আপনার নিকটস্থ ইউনিয়ন পরিষদ অথবা পৌরসভার মাধ্যমে করিয়ে দিতে পারেন।

বিকাশের মাধ্যমে বয়স্ক ভাতা দেখার নিয়ম

এই অংশের মাধ্যমে আমরা আপনাদের এটা জানানোর চেষ্টা করব বিকাশ এর মাধ্যমে কিভাবে ভাতার টাকা চেক করতে হয়। আমরা সকলে অবগত আছি যে বিকাশ হচ্ছে বাংলাদেশের মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবথেকে বড় একটি প্রতিষ্ঠান। আপনি যদি আপনার ভাতার টাকা বিকাশ একাউন্টের মাধ্যমে সংগ্রহ করতে চান তাহলে কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করে আপনি এর ব্যালেন্স চেক করতে পারবেন।

• সবার প্রথমে আপনার বিকাশ একাউন্ট অথবা যিনি ভাতা পাবেন তার বিকাশ একাউন্ট থেকে ডায়াল করতে হবে *২৪৭# এই নাম্বারে এবং সেটা সরাসরি আপনাকে সেন্ড করে দিতে হবে ।

• এরপরে আপনার সামনে একটি নতুন ইন্টারফেস চলে আসবে যেখানে বেশ কয়েকটি তথ্য দেওয়া আছে সেই তথ্যের মধ্য থেকে আপনাকে চেক করে নিতে হবে আপনার বিকাশের মাই একাউন্ট। বর্তমানে দশটি অপশন এর মধ্যে এটা ৯ নম্বর অপশন তাই নয় নম্বর অপশনটি সিলেক্ট করুন।

• এরপর আপনার সামনে নতুন একটি পেজ চলে আসবে যেখানে এক নাম্বার অপশনে লেখা আছে চেক ব্যালেন্স। আপনি যেক ব্যালেন্স নামক অপশনের ওপরে ক্লিক করার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে আপনাকে আপনার বিকাশ একাউন্টের পাসওয়ার্ড দিতে হবে।

• একটি ফিরতি এসএমএস আপনার মোবাইলে আসবে সে ফিরতি এসএমএসের মাধ্যমে আপনার বিকাশ একাউন্টে ভাতার ঢাকা কি পরিমানে আছে সেটা দেখা যাবে। ভাতার টাকা তিন মাস অন্তর অন্তর দেয় এবং এসএমএসের মাধ্যমে সেটা আপনাকে জানানো হয়। তবে হ্যাঁ অনেক সময় ভুয়া এসএমএস আসে তাই এসএমএসের সঙ্গে আপনার বিকাশ একাউন্টের টাকার পরিমাণ মিল করে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন আপনার মোবাইলে ভাতার টাকা এসেছে কিনা এবং সেটা কত টাকা এসেছে।

রকেট এর মাধ্যমে ভাতার টাকা দেখার নিয়ম

 

• আপনি যদি আপনার রকেট একাউন্টের মাধ্যমে ভাতার টাকা দেখতে চান তাহলে সেটা অনেক সহজ একটি পদ্ধতি এর জন্য আপনাকে আপনার নগদ একাউন্ট থেকে সবার প্রথমে ডায়াল করতে হবে *৩২২# এই নাম্বারে।

• এরপরে আপনার সামনে একটি অপশন আসবে যেখানে নতুন একটি পেইজ আপনি দেখতে পাবেন এবং সেই পেইজের ৫ নাম্বার অপশনটি হচ্ছে মাই অ্যাকাউন্ট সেটা আপনাকে নির্বাচন করে সেন্ড করতে হবে।

• আপনার সামনে পুনরায় একটি নতুন পেজ বা নতুন ইন্টারফেস চলে আসবে যেখানে এক নাম্বার অপশনে লেখা থাকবে ব্যালেন্স। আপনাকে এক নাম্বার অপশনটি নির্বাচন করতে হবে এবং সেটা সেন্ড করে দিতে হবে সরাসরি ফিরতে এসএমএস এর মাধ্যমে আপনার রকেট একাউন্টে থাকা ব্যালেন্স দেখানো হবে।

• এখানেও ঢাকার টাকা আসার আগে আপনাকে এসএমএসের মাধ্যমে সেটা জানান দেওয়া হবে। যাদের আশেপাশে গরীব মানুষ আছে এবং যারা অত্যন্ত অসহায় তাদের যদি ভাতারে টাকা আসে তাহলে একজন বুদ্ধিমান এবং শিক্ষিত মানুষ হিসেবে আপনার দায়িত্ব প্রতিবার তাকে সাহায্য করা। কারন আপনার আশেপাশের মানুষকে আপনি যদি সাহায্য না করেন তাহলে তিনি যখন অন্যের কাছে যাবে এবং এভাবে তিনি যখন প্রতারকের হাতে পড়বে তখন তিনি অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

ভাতার টাকা সম্পর্কে সতর্কতা

বর্তমানে গরীবের টাকাও প্রতারকেরা মেনে নিচ্ছে এবং সেটার প্রমাণ আপনি আপনার আশেপাশে অনেক পাবেন। মূলত এই ধরনের টাকাগুলো পেয়ে থাকে বেশিরভাগই বয়স্ক মানুষ এবং তাদের বুদ্ধি দেওয়ার মতন খুব একটা মানুষ নেই এবং সেই সরলতার সুযোগ নেয় প্রতারকেরা এবং তাদের মাধ্যমে বিভিন্ন উপায়ে টাকা আত্মসাৎ করে। তাই আপনি যদি আপনার আশেপাশে এমন কোন অসহায় মানুষকে পান তাহলে সব সময় ভাতারের টাকা সম্পর্কে তাকে সাহায্য করবেন যেন তিনি প্রতারকের পাল্টে না পড়ে। শুধু তাই নয় আপনি নিজে থেকেও সাবধান থাকবেন তার কারণ হচ্ছে আমি নিজে বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই এমন ঘটনা কয়েকটা দেখলাম যেখানে বিকাশ প্রতারকেরা সকলের ব্রেন ওয়াশ করে বিকাশের মাধ্যমে হাজার হাজার টাকা লুটে নিচ্ছে।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *