সিম বন্ধ করার উপায় ২০২৩ সিম বন্ধ করার কারণ

প্রিয় বন্ধুরা, আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদেরকে স্বাগতম। আজকে আমরা আপনাদের সাথে গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিক নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি। টপিকটি হলো সিম বন্ধ করার উপায় ও কারণ। আপনারা যারা সিম বন্ধ করার উপায় ও কারণ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তারা আজকে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে জেনে নিন।

বর্তমানে আমাদের সকলের হাতে হাতে মোবাইল ফোন এভেলেবেল হয়ে গেছে। মোবাইল ফোন ব্যবহার করে না এমন খুব কম মানুষই খুঁজে পাওয়া যাবে। এমনও দেখা যায় একেকজনের কাছে একাধিক সিম থাকে। এর অন্যতম কারণ হলো একেক সিমে একেক ধরনের সুযোগসুবিধা বিদ্যমান থাকে। কারো কল রেট কম, কারো ইন্টার্নেট ফেসিলিটি ভালো, কারণ নেটওয়ার্ক ক্যাপাসিটি ভাল, আবার কারো বা অন্যান্য কম্বাইন্ড ফ্যাসিলিটি ভালো। সব মিলিয়ে আমরা একেক জন একেক ধরনের সিম ব্যবহার করে থাকি। তা অবশ্যই আমাদের সাধ্যের মধ্যে করি এবং আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী বা পছন্দ অনুযায়ী সিম ব্যবহার করি।

কিন্তু আমাদের একাধিক সিম থাকা সত্ত্বেও আমাদের হ্যান্ডসেট অনেকগুলো সিম একসঙ্গে সাপোর্ট করে না। যার কারণে আমরা দুটি বা একটি সিম সচল রাখতে পারি। আর যদি এর অতিরিক্ত সিম আমাদের থাকে তাই আমরা পকেটে পুরে রাখি অথবা কোন নির্দিষ্ট একটি স্থানে রেখে দেই। যখন প্রয়োজন হয় ব্যবহার করি আবার প্রয়োজন শেষ হলে তা বন্ধ করে দিয়ে পুনরায় তার স্বস্থানে রেখে দেই। অনেক সময় দেখা যায় যে আমরা আমাদের অব্যবহৃত সিন দীর্ঘদিন ব্যবহার না করার কারণে তা কোনোভাবে আমরা হারিয়ে ফেলি। অথবা কোনোনাকোনোভাবে সিমটি চুরি হয়ে যায়।

আবার অনেক সময় দেখা যায় যে আমাদের ব্যবহৃত হ্যান্ডসেট হারিয়ে ফেলি অথবা চুরি হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে আমাদের হ্যান্ডসেটের যাবতীয় ডাটা তো হারিয়ে যায়ই পাশাপাশি আমাদের মহামূল্যবান সিম কার্ডটি ও বেহাত হয়ে যায়। এই সমস্ত ক্ষেত্রে আমাদের প্রয়োজন হয়ে পড়ে আমাদের সিম কার্ডটি বন্ধ করে দেয়া। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা যে কিভাবে আমরা আমাদের এই সিম কার্ড গুলো বন্ধ করব। আপনাদের এই সমস্যাকে সামনে রেখে আজকে আমরা আপনাদের জন্য এই আলোচনাটি সাজিয়েছি।

আমাদের দেশে বর্তমানে পাঁচটি মোবাইল অপারেটর কোম্পানি সিম বর্তমান রয়েছে। আজকে আমরা আমাদের এই পোষ্টের মাধ্যমে প্রতিটি সিমের বন্ধ করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আপনাদেরকে জানিয়ে দেব। আপনারা যদি আমাদের আজকের এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে আপনারা সকল ধরনের সিম বন্ধ করার নিয়ম সম্পর্কে পরিপূর্ণ ভাবে জানতে পারবেন। আশা করছি আপনারা ধৈর্য্য সহকারে আমাদের পোস্টটি পড়বেন এবং আমাদের সাথেই থাকবেন। তাহলে আসুন এবার মূল আলোচনায় চলে যাওয়া যাক।

সিম বন্ধ হওয়ার কারণ

সিম বন্ধ হবার অনেকগুলো কারণ রয়েছে যেমন

. সিম হারিয়ে যাওয়া

. সিম চুরি হয়ে যাওয়া

. হ্যান্ডসেট হারিয়ে যাওয়া বা চুরি হয়ে যাওয়া

. দীর্ঘদিন সিম অব্যবহৃত অবস্থায় রেখে দেওয়া সিম বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

. সিম দীর্ঘদিন পকেটের মানিব্যাগে রেখে দেওয়াতে সিমের নিজস্ব ক্রিয় ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাওয়া।

. দীর্ঘদিন সিমে কোন লেনদেন না করা। অর্থাৎ কোন পরিমাণ টাকা রিচার্জ না করা। ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে সিম কার্ড নষ্ট হয়ে যেতে পারে বা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

জিপি সিম বন্ধ করার উপায়

আপনি যদি একজন জিপি সিমের গ্রাহক হয়ে থাকেন এবং কোন কারনে আপনার ব্যবহৃত সিম কে বন্ধ করতে চান তাহলে সবার প্রথমে আপনাকে কাস্টমার কেয়ারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। গ্রামীণফোন কাস্টমার কেয়ারের নাম্বার হলো 121. আপনারা এই নাম্বারে কল করে কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধির সাথে সরাসরি কথা বলতে পারবেন এবং তাদেরকে আপনার সিম বন্ধ করে দেওয়ার জন্য আহ্বান করবেন। কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধি আপনাকে কিছু তথ্য জানতে চাইবে তার সঠিক জবাব আপনাদেরকে দিতে হবে। যা আপনার সিমটি কে বন্ধ করে দিতে সহায়তা করবে।

গ্রামীণফোন কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধি আপনাকে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন করতে পারে যেমনআপনি সর্বশেষ আপনার জিপি সিম এ কত টাকা রিচার্জ করেছেন? আপনার সিম কার নামে নিবন্ধন করা আছে? যদি আপনি ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে সিম নিবন্ধন করে থাকেন তাহলে ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার কত? এছাড়াও আরও নানান ধরনের প্রশ্ন করতে পারে। আর আপনি যদি সঠিক ব্যক্তি হয়ে থাকেন এবং সঠিক কারণেই আপনার সিমটি বন্ধ করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ঠিকঠাক জবাব দিতে হবে। আপনি জিপি সিম বন্ধ করতে পারবেন না।

রবি সিম বন্ধ করার উপায়

আপনি যদি আপনার রবি সিম বন্ধ করতে চান তাহলে দুইভাবে করতে পারবেন। একটি হল সরাসরি কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধির সাথে যোগাযোগ করে অথবা আপনার নিকটস্থ কোনো বায়োমেট্রিক রিটেইলার পয়েন্টের প্রতিনিধির সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে। আপনারা যদি সরাসরি কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধির সাথে যোগাযোগ করতে চান তাহলে দুইটি নাম্বার থেকে করতে পারবেন। একটি হল 121 এবং অপরটি হল 01819400400. এ দুটি নাম্বারের যেকোনো একটি নাম্বারে কল করলে আপনারা রবি কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধির সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারবেন এবং আপনি আপনার সমস্যার কথা তাদেরকে বলতে পারবেন।

পূর্বের ন্যায় এখানেও আপনাদেরকে বিশেষ বিশেষ তথ্য দিয়ে কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধিকে সহায়তা প্রদান করতে হবে। যখন আপনি সবগুলো প্রশ্নের ঠিকঠাক জবাব দিতে পারবেন তারপরই আপনার রবি সিমকে ওই কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধি বন্ধ করে দিবে।

এছাড়াও আপনারা যদি বায়োমেট্রিক রিটেইলার পয়েন্টের প্রতিনিধির সাথে যোগাযোগ করেন এবং সেখানে গিয়ে বায়োমেট্রিক রিটেইলার প্রতিনিধি কে যদি বলেন যে আপনি আপনার সিম বন্ধ করতে চান তাহলে তা তারা করে দেবে। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাদেরকে সঠিক ব্যক্তি স্বশরীরে সেখানে উপস্থিত থাকতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সবকিছু সাথে করে নিয়ে যেতে হবে। সব ঠিকঠাক থাকলেই তার আপনাদের সিম কে বন্ধ করে দেবে।

বাংলালিংক সিম বন্ধ করার উপায়

আপনারা যদি বাংলালিংক সিম বন্ধ করতে চান তাহলে সরাসরি কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধির সাথে কল করে তা করতে পারবেন। বাংলালিংক কাস্টমার কেয়ার নাম্বারটি হল 01911304121. আপনারা আপনাদের সমস্যার কথা সরাসরি এই নাম্বারে কল করে জানালে তারা নির্দিষ্ট কিছু প্রশ্ন করার বিনিময় আপনাদের বাংলালিংক নাম্বার টি বন্ধ করে দিবে। এছাড়াও আপনারা আপনার নিকটস্থ বাংলালিংক পয়েন্ট এ যোগাযোগ করতে পারেন।

আপনাদের সিম যে নামে বা যার নামে নিবন্ধিত হয়েছে তাকে সেখানে উপস্থিত হতে হবে। সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে যেতে হবে। যেমন ন্যাশনাল আইডি কার্ড, পাসপোর্ট নাম্বার, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদি। এই জরুরি ডকুমেন্টগুলো সাথে নিয়ে গেলে এবং সঠিকভাবে তথ্যগুলো দিতে পারলেই ওই প্রতিনিধিগণ আপনাদের বাংলালিং সিম টি বন্ধ করে দিতে সহায়তা করবে।

এয়ারটেল সিম বন্ধ করার নিয়ম

আপনারা যদি এয়ারটেল সিম বন্ধ করতে চান তাহলে কাস্টমার কেয়ারে সরাসরি কল করে তা বন্ধ করে দিতে পারবেন। এয়ারটেল কাস্টমার কেয়ারের নাম্বার দুটি। একটি হল 121 এবং অপরটি হল 01678600786. আপনারা এই দুটো নাম্বারে যেকোনো একটি নাম্বারে কল করলেই কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধির সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারবেন এবং আপনার সমস্যার কথা তুলে ধরতে পারবেন। পর্যাপ্ত তথ্য প্রদান করার পর উক্ত কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধি আপনার বর্তমান এয়ারটেল সিম টি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেবে।

হারানো সিম বন্ধ করার উপায়

আপনি যে সিমের গ্রাহকই হোন না কেন আপনি যদি চান আপনার হারিয়ে যাওয়া সিম টি বন্ধ করে দেবেন তাহলে আপনার তা খুব সহজেই করতে পারবেন। আপনারা যে কোন রিচার্জ পয়েন্ট এর প্রতিনিধির সাথে যোগাযোগ স্থাপন করবেন স্বশরীরে। এবং সিম কেনার সময় যে কাগজপত্র দিয়ে কিনেছিলেন তা সঙ্গে করে নিয়ে যেতে হবে। আপনারা যদি তাকে বলেন যে আপনি সিম বন্ধ করতে চান তাহলে অনায়াসে তারা আপনাকে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট অনুসারে সিমটি বন্ধ করে দেবে। আপনারা যদি পুনরায় ওই একই সিম কিনতে চান তাহলে 150 কিংবা 200 টাকার বিনিময়ে তাকে নিতে পারবেন।

আশা করছি পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে। এবং সিম বন্ধ হওয়ার কারণ ও সিম বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পেরেছেন। আপনাদের যদি এই বিষয়ে কোন মন্তব্য থাকে তাহলে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন। নিত্য নতুন আপডেট পাওয়ার জন্য আমাদের পেজে নিয়মিত ভিজিট করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *